সামিট গ্রুপের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আজিজ খান সম্প্রতি বাংলাদেশের নাগরিকত্ব ত্যাগ করে সিঙ্গাপুরের নাগরিকত্ব গ্রহণ করেছেন। সিঙ্গাপুরের আইন অনুযায়ী, দ্বৈত নাগরিকত্ব রাখা যায় না। ফলে সিঙ্গাপুরের নাগরিকত্ব পেতে তিনি বাংলাদেশের নাগরিকত্ব ছেড়েছেন।
মুহাম্মদ আজিজ খান ১৯৮৮ সাল থেকে সিঙ্গাপুরে স্থায়ী বাসিন্দা হিসেবে বসবাস করছেন। তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সামিট পাওয়ারের প্রধান কার্যালয় ২০১৬ সালে সিঙ্গাপুরে স্থানান্তরিত হয়। তিনি সিঙ্গাপুরের শীর্ষ ৫০ ধনীর তালিকায় সাত বছর ধরে অবস্থান করছেন এবং ২০১৮ সাল থেকে ফোর্বসের তালিকায় সিঙ্গাপুরের ধনীদের মধ্যে স্থান পেয়েছেন। একই সঙ্গে তিনি ফোর্বসের বৈশ্বিক বিলিয়নেয়ার তালিকায়ও অন্তর্ভুক্ত। বর্তমানে তার মোট সম্পদ ১১০ কোটি ডলার।
আইন ও অভিবাসন বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, সিঙ্গাপুরের নাগরিকত্ব গ্রহণের জন্য আজিজ খানকে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব ত্যাগ করতে হয়েছে। তাকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদন নিয়ে সিঙ্গাপুরের কর্তৃপক্ষের কাছে তা জমা দিতে হয়েছে।
ব্যবসায়িক জীবন শুরুতে আজিজ খান বিদ্যুৎ সংকটের কারণে বেশ সমস্যায় পড়েন। এ থেকেই বিদ্যুৎ উৎপাদন খাতে বিনিয়োগের আগ্রহ জন্মে তার। ১৯৯৭ সালে তিনি সামিট পাওয়ার প্রতিষ্ঠা করেন, যা বর্তমানে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ খাতে একটি গুরুত্বপূর্ণ নাম।
আজিজ খান সিঙ্গাপুরে পরিবারের সঙ্গে বসবাস করেন এবং বছরের বেশিরভাগ সময় সেখানেই কাটান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ থেকে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করা এই উদ্যোক্তা তার কর্মজীবনে সাফল্যের শীর্ষে পৌঁছেছেন।
আরএস