ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি মন্তব্য করেছেন যে, সিরিয়ার বর্তমান পরিস্থিতি ও ভবিষ্যৎ নিয়ে কোনো স্পষ্ট ভবিষ্যদ্বাণী করা এখনই সম্ভব নয়।
তিনি বলেন, ‘‘সিরিয়ার ভবিষ্যৎ নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে অপরিপক্ক কাজ, কারণ দেশটিতে অনেকগুলো ফ্যাক্টর কাজ করছে যা ভবিষ্যৎ নির্ধারণে ভূমিকা রাখবে।’’
তিনি আরও বলেন, ‘‘সিরিয়ার বর্তমান পরিস্থিতি অনিশ্চিত, কোনো পক্ষই বিজয় দাবি করতে পারলেও, দেশের পরিস্থিতি এখনও অব্যক্ত ও জটিল।’’
গত ৮ ডিসেম্বর তুর্কি সমর্থিত বিদ্রোহী গোষ্ঠী হায়াতে তাহরির আশ-শাম দামেস্ক দখল করে নেয়, যা প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের ২৪ বছরের শাসনের শেষ হয়ে যায়। এরপর ইসরায়েল সিরিয়ার সামরিক স্থাপনা এবং প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় আক্রমণ অব্যাহত রাখে।
এদিকে, সিরিয়ার শাসন পরিবর্তনের পর, তুরস্ক-সমর্থিত ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী ও স্থানীয় মিলিশিয়া গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান কুর্দিপন্থী যোদ্ধাদের অস্ত্র সমর্পণের জন্য হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন।
তিনি বলেন, ‘‘যদি কুর্দি যোদ্ধারা অস্ত্র সমর্পণ না করেন, তবে তাদের অস্ত্রসহ মাটিতে পুঁতে ফেলা হবে।’’
এরদোয়ান বলেন, ‘‘আমরা সেই সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে নির্মূল করব, যারা আমাদের এবং কুর্দি ভাই-বোনদের মাঝে রক্তের প্রাচীর তৈরি করার চেষ্টা করছে।’’
এছাড়া, তুরস্ক কুর্দি গোষ্ঠী ওয়াইপিজিকে পিকেকে’র সম্প্রসারিত শাখা হিসেবে দেখে, যা ১৯৮৪ সাল থেকে তুরস্কের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ চালিয়ে আসছে।
ওয়াইপিজির প্রতি সমর্থন রয়েছে সিরিয়ান ডেমোক্র্যাটিক ফোর্সেসের (এসডিএফ), যা যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র। তুরস্ক, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) পিকেকেকে-কে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
আরএস//বিএন