সুদানের দারফুর অঞ্চলের এল-ফাশার শহরের একটি হাসপাতালে ড্রোন হামলায় অন্তত ৩০ জন রোগী নিহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) সৌদি হাসপাতালকে লক্ষ্য করে এই হামলা চালানো হয়। তবে কারা এই হামলার পেছনে রয়েছে তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদন অনুযায়ী, আহতদের মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যাও উল্লেখযোগ্য। আঞ্চলিক গভর্নর মিনি মিনাউই তার এক্স (সাবেক টুইটার) অ্যাকাউন্টে রক্তাক্ত মরদেহের ছবি পোস্ট করে জানান, এই হামলায় ৩০ জনেরও বেশি মানুষ নিঃশেষ হয়ে গেছে। এতে আহত হয়েছেন অর্ধশতাধিক মানুষ।
এর আগে, একই ভবনটি র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ)-এর ড্রোন হামলার লক্ষ্যবস্তু হয়েছিল। সুদানের সেনাবাহিনী ও আধাসামরিক আরএসএফের মধ্যকার সংঘাত ২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে শুরু হয়, যা এখন পর্যন্ত হাজার হাজার মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে এবং লাখ লাখ মানুষকে ঘরবাড়ি ছাড়তে বাধ্য করেছে।
এল-ফাশারের উত্তর দারফুরে আরএসএফ দীর্ঘদিন ধরে অবরোধ করে রেখেছে। তবে সেনাবাহিনীর মিত্র গোষ্ঠীগুলোর চাপের কারণে আরএসএফ অনেকবার পিছু হটতে বাধ্য হয়েছে।
মানবিক সংকট ও দুর্ভিক্ষের শঙ্কা
এল-ফাশার ও তার আশেপাশে অবস্থিত তিনটি শরণার্থী শিবির—জমজম, আবু শউক এবং আল-সালামে দুর্ভিক্ষ শুরু হয়েছে। জাতিসংঘ-সমর্থিত এক মূল্যায়নে সতর্ক করা হয়েছে যে, আগামী মে মাসের মধ্যে দারফুর অঞ্চলের আরও পাঁচটি এলাকায় দুর্ভিক্ষ ছড়িয়ে পড়তে পারে।
এই সংঘাতের ফলে সুদানের জনসংখ্যার অর্ধেক মানুষ এখন ক্ষুধার্ত অবস্থায় রয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কার্যকর পদক্ষেপ প্রয়োজন বলে মনে করছেন ভূরাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
আরইউএস