সরকারের কঠোর নিয়মকানুন ও নজরদারির ফলে সৌদি আরবগামী বিমানের টিকিটের দাম উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে বলে জানিয়েছে অ্যাসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্টস অব বাংলাদেশ (আটাব)।
গত ডিসেম্বর ও ফেব্রুয়ারিতে ঢাকা থেকে সৌদি আরবের বিভিন্ন শহরে যেতে যাত্রীদের অতিরিক্ত ভাড়া গুনতে হয়েছিল। গ্রুপ বুকিং ব্যবস্থার কারণে টিকিটের দাম ১ লাখ ৯০ হাজার টাকা পর্যন্ত বেড়ে যায়। তবে সরকারের কঠোর তদারকির ফলে এখন সেই ভাড়া ৪৮ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকায় নেমে এসেছে। কিছু বিমান সংস্থা দাম্মাম ও রিয়াদের মতো রুটে ভাড়া আরও কমিয়ে ৩৫ হাজার টাকায় এনেছে।
বিমান ভাড়ার অস্বাভাবিক বৃদ্ধির লাগাম টানতে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় গত ১১ ফেব্রুয়ারি কঠোর নিয়ম চালু করে। এতে টিকিট কেনার ক্ষেত্রে যাত্রীর নাম, পাসপোর্টের বিবরণ ও পাসপোর্টের একটি ফটোকপি জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়।
এ সিদ্ধান্তের ফলে বিমান সংস্থাগুলো ব্লক করা টিকিট বাজারে ছেড়ে দেয়, যা কম্পিউটার রিজার্ভেশন সিস্টেমে আসন সংখ্যা বৃদ্ধি করেছে। ফলে যাত্রী ও ভ্রমণ সংস্থাগুলো রিয়েল-টাইম তথ্য পেতে শুরু করেছে। এ ছাড়া, প্রতিযোগিতা বৃদ্ধির ফলে বিমান ভাড়া কমেছে।
আটাব সরকারের এই পদক্ষেপকে সময়োপযোগী ও প্রয়োজনীয় বলে উল্লেখ করেছে, বিশেষ করে অভিবাসী কর্মীদের আর্থিক বোঝা কমানোর ক্ষেত্রে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
আটাব-এর মহাসচিব আফসিয়া জান্নাত সালেহ বলেছেন, এ উদ্যোগ কেবল যাত্রীদের জন্যই নয়, বরং পুরো ভ্রমণ শিল্পের জন্য উপকারী। তিনি সরকারের এই তদারকি অব্যাহত রাখার ওপর জোর দেন এবং ভবিষ্যতে বাজারের স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে অতিরিক্ত আইন প্রণয়নের সুপারিশ করেন।
আটাব এক বিবৃতিতে বিমানের টিকিটের মূল্য নির্ধারণে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস, প্রবাসী কল্যাণ উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল, বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী ও বেসামরিক বিমান পরিবহন সচিব বেগম নাসরিন জাহানের অবদানের প্রশংসা করেছে।
এর আগে, চলতি বছরের ২৬ জানুয়ারি আটাব এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সরকারকে টিকিটের মূল্য বৃদ্ধির বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানায়।