রুশাইদ আহমেদ: স্টার্ট-আপ উদ্যোক্তাদের জন্য অর্থায়নের নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ফলে এখন থেকে ৪ শতাংশ সুদে ঋণ সুবিধার পাশাপাশি স্টার্ট-আপে ইক্যুইটি বিনিয়োগও করতে পারবে ব্যাংকগুলো।
তবে এ ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিজস্ব একটি ভেঞ্চার ক্যাপিটাল কোম্পানি গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এটি পরিচালিত হবে ব্যাংকগুলোর বার্ষিক নিট মুনাফার এক শতাংশ অর্থ দিয়ে।
বুধবার (৯ জুলাই) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের জারি করা নতুন নীতিমালায় বলা হয়েছে, দেশের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রায় স্টার্ট-আপগুলো কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও উদ্ভাবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। তাই সময়োপযোগী সংস্কারের অংশ হিসেবে বিদ্যমান স্টার্ট-আপ অর্থায়ন নীতিমালায় পরিবর্তন আনা হয়েছে।
নতুন নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়, প্রতিটি ব্যাংক তাদের নিজস্ব ‘স্টার্ট-আপ ফান্ড’ থেকে শুধুমাত্র ইক্যুইটি বিনিয়োগ করতে পারবে। পাশাপাশি বাংলাদেশ ব্যাংকের ৫০০ কোটি টাকার পুনঃঅর্থায়ন তহবিল ব্যবহার করে ব্যাংকগুলো স্টার্ট-আপ উদ্যোক্তাদের ঋণ দিতে পারবে।
তবে এই তহবিল ছাড়া নতুন করে ঋণ বা বিনিয়োগ অনুমোদন করতে পারবে না ব্যাংকগুলো। পূর্বে অনুমোদিত ক্ষেত্রেই শুধু অর্থ ছাড় করা যাবে।
নীতিমালা মোতাবেক, স্টার্ট-আপ উদ্যোক্তাদের সর্বনিম্ন বয়স হতে হবে ২১ বছর। তবে এ ক্ষেত্রে কোনো সর্বোচ্চ বয়সসীমা নির্ধারণ করা হয়নি।
এ ছাড়া, বিদ্যমান প্রতিষ্ঠানগুলোও অর্থায়ন পেতে পারবে নীতিমালা অনুযায়ী। তবে তাদের নিবন্ধনের বয়স ১২ বছরের মধ্যে থাকতে হবে।
অপর দিকে, স্টার্ট-আপ ঋণসীমা বাড়িয়ে ধাপে ধাপে ২ কোটি থেকে ৮ কোটি টাকার মধ্যে নির্ধারণ করা হয়েছে এই নীতিমালায়। পূর্বে এই হার ছিল সর্বোচ্চ ১ কোটি ছিল।
অর্থনীতিবিদদের মতে, এই নীতিমালাটি ব্যাংকিং খাতকে উদ্যোক্তা-বান্ধব করতে এবং উদ্ভাবনভিত্তিক অর্থনীতির ভিত মজবুত করতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।