বিশেষ প্রতিনিধি: বাংলাদেশ থেকে ২০২৫ সালের হজযাত্রার কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে। সোমবার (২৮ এপ্রিল) দিবাগত রাত ২টা ২০ মিনিটে সৌদি এয়ারলাইন্সের প্রথম হজ ফ্লাইট (এসভি-৩৮০৩) ৩৯৮ জন যাত্রী নিয়ে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে জেদ্দার উদ্দেশে রওনা দেয়।
চলতি বছর হজ ব্যবস্থাপনায় এসেছে একাধিক পরিবর্তন ও আধুনিক ব্যবস্থা। এবারই প্রথমবারের মতো ইমিগ্রেশন কার্যক্রম করা হচ্ছে রাজধানীর আশকোনা হজক্যাম্পেই। একইসঙ্গে যাত্রীদের বোর্ডিং পাসও দেওয়া হচ্ছে সেখানেই। ফলে হজযাত্রীরা সরাসরি ক্যাম্প থেকে বিমানবন্দরে গিয়ে ফ্লাইটে উঠতে পারছেন, যা সময় ও দুর্ভোগ কমিয়েছে।
হজযাত্রীদের লাগেজ সনাক্তকরণ সহজ করতে এ বছর প্রথমবারের মতো চালু হয়েছে ‘কালার ট্যাগ’ পদ্ধতি। প্রতিটি ব্যাগে নির্দিষ্ট রঙের ট্যাগ লাগানো হচ্ছে, যাতে তা সরাসরি যাত্রীর সৌদি হোটেলে পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয়। এতে লাগেজ হারানো বা বিলম্বের ঝুঁকি অনেকটাই কমবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন অনেক হজযাত্রী।
এর আগে সোমবার সন্ধ্যায় হজ ফ্লাইট ২০২৫–এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রীর ধর্মবিষয়ক উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন। উদ্বোধনী বক্তব্যে তিনি হজযাত্রীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন এবং সৌদি আরবের আইন-কানুন মেনে চলার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, “দেশের ভাবমূর্তি যেন কেউ ক্ষুণ্ণ না করে, সে বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।”
প্রথম দিনেই মোট ১০টি ফ্লাইটে ৪ হাজার ১৮০ জন হজযাত্রী সৌদি আরবের উদ্দেশে যাত্রা করছেন। এর মধ্যে ৮টি ফ্লাইট অবতরণ করবে জেদ্দার কিং আবদুল আজিজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এবং বাকি ২টি মদিনার প্রিন্স মুহাম্মদ বিন আব্দুল আজিজ বিমানবন্দরে।
বাংলাদেশ থেকে এ বছর তিনটি এয়ারলাইন্স হজযাত্রী পরিবহন করবে। বাংলাদেশ বিমান পরিচালনা করবে ১১৮টি ফ্লাইটে ৪৪,৩০৭ জন, সাউদিয়া ৮০টি ফ্লাইটে ৩২,৭৪০ জন এবং ফ্লাইনাস ৩৪টি ফ্লাইটে ১৩,০৬৫ জন যাত্রী পরিবহন করবে। ৩১ মে’র মধ্যে প্রাক-হজ ফ্লাইট শেষ হবে এবং ১০ জুন থেকে ফিরতি ফ্লাইট শুরু হবে। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে হজ অনুষ্ঠিত হবে ৫ জুন।
চলতি বছর বাংলাদেশ থেকে মোট ৮৭ হাজার ১০০ জন হজযাত্রী সৌদি আরবে যাবেন, যার মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় রয়েছেন ৫,২০০ জন এবং বাকি ৮১,৯০০ জন যাবেন বেসরকারি ব্যবস্থাপনায়।