হাওর ও পরিবেশ রক্ষার দাবিতে স্থানীয় একটি হোটেলের হলরুমে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেছে হাওর রক্ষা আন্দোলন, মৌলভীবাজার জেলা কমিটি।
বুধবার ( ১৬ জুলাই ) দুপুরে সম্মেলনে সংগঠনটি ১১ দফা দাবি বাস্তবায়নে মাসভিত্তিক কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
সংগঠনের সভাপতি আ স ম সালেহ সোহেল ও সদস্যসচিব এম. খছরু চৌধুরী জানান, জুলাই মাসজুড়ে জেলার সক্রিয় রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দের সাথে হাওর ও পরিবেশ সংরক্ষণ বিষয়ে মতবিনিময় হবে।
আগস্টে হাওর পাড়ের কৃষক ও মৎস্যজীবীদের সাথে হাটসভা, পথসভা ও উঠান বৈঠকের মাধ্যমে সচেতনতামূলক কার্যক্রম চালানো হবে। সেপ্টেম্বর মাসে জেলার সব উপজেলায় কমিটি গঠনের পরিকল্পনা রয়েছে। অক্টোবর মাসে প্রচারপত্র বিলির মাধ্যমে জনমত গঠন এবং জেলা সম্মেলনের আয়োজন করা হবে। দাবি পূরণ না হলে নভেম্বর মাসে ‘হাইল হাওর জনতার দখলমুক্ত অভিযান’-এর ঘোষণা দেন নেতারা।
এ সময় নেতারা বলেন, হাওর আমাদের প্রাণ, হাওর বাঁচলে কৃষক বাঁচবে, পরিবেশ বাঁচবে।
আমরা দেশের নাগরিক হিসেবে স্বাধীনতা পরবর্তী ৫৩ বছর ধরে বিস্মিত ও হতবাক হয়ে দেখছি , ভূমি জালিয়াতি বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইনের ৫ ধারা সহ আরও অনেক ধারায় এর সব গুলোই শাস্তিযোগ্য অপরাধ । হাইল হাওরে প্রাণ আরএফএম কোম্পানি সহ অন্যান্য অনেক ফিশারি মালিক এসকল অপরাধ সংগঠিত করার পরও তাদের কে শাস্তির আওতাধীন করা হচ্ছে না কেন ।
আরএফএল কোম্পানি , হাইল হাওরে পরিবেশ – প্রতিবেশের ক্ষতি ও তাদের দ্বারা সংঘটিত অপরাধ উহ্য রেখে প্রশাসন সহ নানা মহলে বিভ্রান্তিমূলকভাবে সৌরবিদ্যুত , ফিশারিজ , পোল্ট্রি শিল্প স্হাপনের লাভজনক দিক উপস্হাপন করার দুঃসাহস দেখাচ্ছেন । এলাকার নিরীহ কৃষকদের নামে মিথ্যা মামলা দায়ের করে হয়রানি করছে।
এলাকার জাল জালিয়াতির দখল করা গরীব কৃষকদের জমি অবিলম্ব ফিরত দিতে এবং প্রাণ কোম্পানীর হাইল হাওরের ফিশারিজের বাঁধের কারনে কোদালীছড়া দিয়ে মৌলভীবাজার শহরের পানি যথাসময়ে নামতে পারে না । গত মে মাসে শহরে জলাবদ্ধতাও এর অন্যতম কারণ।
বক্তারা আরও বলেন কাউয়াদিঘী হাওরের মাঝখানে ১১০ মেগাওয়াটস সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প স্হাপনের অসৎ উদ্দেশ্য হলো – (১) প্রকল্প কেন্দ্রে যোগাযোগ নামে হাওরের মাঝে বরাবর একটি সড়ক নির্মান (২) হাওরের কৃষকের কম মূল্যর জমি হাতিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি সরকারের খাস জমি দখল করে, হাওর পরিবেশ ধ্বংস করে নানা ধরনের শিল্প কারখানা স্হাপন করা
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন—প্রকৌশলী মোয়াজ্জেম হোসেন, শিব প্রসন্ন ভট্টাচার্য, সাধারন সম্পাদক বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন ( বাপা), ধীরাজ ভট্টাচার্য, উপদেষ্টা, অ্যাডভোকেট হুমায়ূন রশীদ সোয়েব, নির্বাহী সদস্য, মোঃ আলমগীর হোসেন,নির্বাহী সদস্য , মোঃ খায়রুল ইসলাম প্রমুখ।