দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) আন্দোলন করেছে অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তারা।
সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার নিয়োগকে কেন্দ্র করে এমন আন্দোলন শুরু করেছে বিশ্ববিদ্যালয়টির কর্মকর্তাদের একাংশ।
গত মঙ্গলবার (৮ জুলাই) হাবিপ্রবি উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. এনামউল্ল্যা অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রপ ফিজিওলজি এন্ড ইকোলজি বিভাগের প্রফেসর ড. মো. আবু হাসানকে রেজিস্ট্রার নিয়োগ দিয়ে অফিস আদেশ দেন। পরবর্তীতে গত বুধবার (৯ জুলাই) নবনিযুক্ত রেজিস্ট্রার তার অফিস কার্যালয়ে যোগদান করেন। এসময় তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক,শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা- কর্মচারীরা ফুলেল শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।
অপরদিকে উপাচার্যের আদেশের বিরুদ্ধে গিয়ে আন্দোলন করেছেন কর্মকর্তাদেরই একাংশ। জানা যায় তারা মূলত কর্মকর্তাদের মাঝ থেকেই রেজিস্ট্রার চান।তারা বলছেন যে,রেজিস্ট্রার পদ মূলত কর্মকর্তাদেরই পদ এই পদে শিক্ষকদের নিয়োগ দেওয়া মোটেও কাম্য না।সেইসাথে তারা বলেছেন রেজিস্ট্রার হওয়ার মতো যোগ্যতাও আমাদের কর্মকর্তাদের আছে।তাহলে কেন এমন আদেশ দেওয়া হলো।
বিভিন্ন সূত্রমতে জানা যায় উক্ত আন্দোলনে আওয়ামী পন্থী কর্মকর্তারাও আছেন যারা বিষয়টিকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছেন। পরবর্তীতে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে আওয়ামী পন্থী ও গত নিয়োগে নিয়োগ পাওয়া ১৬ জনের মধ্যেকার কর্মকর্তারাও আছেন। বিগত দিনে নিয়োগ পাওয়া ১৬ জন কর্মকর্তার বিষয়ে হাবিপ্রবির বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন সহ বিভিন্ন জন নানা অভিযোগ করেছেন। তাদের বিষয়ে অভিযোগ আছে ছাত্রলীগ এবং আওয়ামী লীগের দলীয় প্রভাবের মাধ্যমে তারা নিয়োগ পেয়েছেন। ১৬ জন কর্মকর্তাদের মধ্যে থেকে বিগত সময়ে কয়েকজনকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্মকর্তাদের আন্দোলনকে উপেক্ষা করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা।সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কর্মকর্তাদের আন্দোলন নিয়ে তারা নেতিবাচক মন্তব্য করেছেন। অনেকে বলেছেন, লাঞ্চের পরে আসতে বলা লোকেরা রেজিস্ট্রার হবে? তাদের আবারও পরীক্ষা নেওয়া হোক পাশ করলে চাকরি থাকবে, পাশ না করলে চাকরি থাকবে না। এরা অধিকাংশ টাকা আর লবিংয়ের মাধ্যমে কর্মকর্তা হয়েছে কয়েকদিন পরে ভিসির পদ চেয়ে বসবে। কেউ কেউ এই আন্দোলনকে হাস্যকার আখ্যা দিয়ে বলেছেন, এতদিন তো কোনো আন্দোলন ছিল না।বিগত দিনগুলোতে তো শিক্ষকেরাই রেজিস্ট্রার হয়েছে। এমন আন্দোলন প্রশাসনে সঙ্কট সৃষ্টির পাঁয়তারা এবং সম্মানিত শিক্ষককে অপমান করা।
একাধিক শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বলেছেন, তাদের এমন আন্দোলন নিঃসন্দেহে একটি চক্রান্ত। তাদের এই আন্দোলনের মাধ্যমে তারা প্রশাসনিক কাজ বিঘ্নিত করছেন।তারা এমন কর্মকান্ডের মাধ্যমে নিজেদের হীন স্বার্থ চরিতার্থ করার চেষ্টা করছেন মাত্র।
এ বিষয়ে জানতে চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়টির কর্মকর্তা ও শরীরচর্চা বিভাগের পরিচালক মো. মাহবুব উল হাসানের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি রোগী নিয়ে হাসপাতালে আছি। এ বিষয়ে পরবর্তীতে কথা বলবো।