দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) কৃষি অনুষদের প্লান্টপ্যাথলজি বিভাগের জানুয়ারি -জুন,২০২৫ মাস্টার্সে নতুন ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি ভবনের প্লান্টপ্যাথলজি বিভাগের ল্যাব -১ এ সকাল সাড়ে দশটায় উক্ত ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন প্লান্টপ্যাথলজি বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মো.মহিদুল হাসান।
ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হাবিপ্রবি উপাচার্য প্রফেসর ড. মো.এনামউল্ল্যা।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. শফিকুল ইসলাম শিকদার। বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন ট্রেজারার প্রফেসর ড. এম জাহাঙ্গীর কবির, কৃষি অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো.মনিরুজ্জামান বাহাদুর।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে হাবিপ্রবি উপাচার্য প্রফেসর ড. মো.এনামউল্ল্যা বলেন,দেশের উন্নয়নের স্বার্থে কৃষির বিকল্প নেই।আর কৃষিবিদরা কৃষকদের সাথে প্রান্তিক পর্যায়ে কাজ করে।কৃষিবিদরা হচ্ছে কৃষকদের ডাক্তার। কারণ তারা শস্যের রোগ নির্ণয় করে। ফসলের ভালো মন্দ নিয়ে গবেষণা করে।কৃষিবিদরা দেশের কৃষিক্ষেত্রকে এগিয়ে নিতে কাজ করছে।
সদ্য মাস্টার্সে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন,তোমরা হয়তো ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ারদের মতো আর্থিকভাবে অতটা লাভবান হওনা।কিন্তু তোমরা গরীব কৃষকদের মনের ভালবাসা পাও।তোমরা ঠিকমতো পড়াশোনা করে নিজেদেরকে যোগ্য কৃষিবিদ হিসেবে গড়ে তোলো।ছাত্র জীবনে হতাশ হবে না।ছাত্র জীবনে খুব বেশি কিছু লাগে না। জীবন পরিচালনা করতে যতটুকু প্রয়োজন সেটুকু নিয়েই সুন্দরভাবে পড়াশোনা চালিয়ে যাও।পরবর্তীতে তোমাদের জন্য সুন্দর জীবন অপেক্ষা করছে।
সভাপতির বক্তব্যে প্লান্টপ্যাথলজি বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মো. মহিদুল হাসান বলেন, আমাদের অনেক স্বল্পতা থাকা সত্বেও প্রতি বছর আমাদের বিভাগ থেকে দুই একটা করে আন্তর্জাতিক মানের গবেষণা পত্র প্রকাশিত হয়।আমরা আমাদের শিক্ষার্থীদের নিয়ে ভালো কিছু করার চেষ্টা করি।আশা রাখছি আমরা আমাদের শিক্ষার্থীদের নিয়ে ভালো মানের গবেষণার মাধ্যমে দেশের কৃষি খাতে আরো ভালো ভূমিকা রাখতে পারবো।
তিনি বক্তব্যের সময় উপাচার্যের নিকট রিসার্চ প্লট বরাদ্দ সহ বিভিন্ন প্রয়োজনীয় বিষয়াদিও তুলে ধরেন।
উল্লেখ্যঃ এ বছর উক্ত বিভাগে হাবিপ্রবি ও বিভিন্ন প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ৩১ জন শিক্ষার্থী মাস্টার্সে ভর্তি হয়েছে।
আরইউএস