অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমি মন্ত্রণালয় এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ. এফ. হাসান আরিফের মৃত্যুতে সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রীয় শোক পালনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
রোববার (২২ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের জারি করা প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সোমবার দেশের সব সরকারি, আধা-সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং বিদেশে বাংলাদেশ মিশনগুলোতে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হবে। একইসঙ্গে তার রুহের মাগফেরাত কামনায় মসজিদগুলোতে বিশেষ দোয়া এবং অন্যান্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে আত্মার শান্তির জন্য প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হবে।
শনিবার (২১ ডিসেম্বর) সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে এ. এফ. হাসান আরিফের দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
এর আগে শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) রাতে ধানমন্ডিতে প্রথম জানাজা হয়। ওইদিন বিকেলে রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
তার ছেলে মুয়াজ আরিফ জানিয়েছেন, শুক্রবার দুপুরে বাসায় অসুস্থ হয়ে পড়ার পর হাসপাতালে নিলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
১৯৪১ সালে কলকাতায় জন্মগ্রহণ করা এ. এফ. হাসান আরিফ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক এবং এলএলবি সম্পন্ন করেন। তিনি ভারতের কলকাতা হাইকোর্টে আইনজীবী হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন এবং পরে বাংলাদেশ হাইকোর্টে কাজ করেন।
২০০১ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত তিনি অ্যাটর্নি জেনারেলের দায়িত্ব পালন করেন। ফখরুদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বাধীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা হিসেবেও ভূমি, আইন, বিচার ও ধর্ম মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলেন তিনি।
এ. এফ. হাসান আরিফ করপোরেট আইন, ব্যাংকিং, বাণিজ্যিক সালিস এবং বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তিতে বিশেষ দক্ষতা অর্জন করেন। তার মৃত্যুতে দেশে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
আরএস//বিএন