মোঃ জয়নাল আবেদীন জয়, জয়পুরহাট জেলা প্রতিনিধি:
কোরবানি ঈদকে ঘিরে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে বেড়েছে মসলা জাতীয় পণ্যের আমদানি। এর ফলে হিলির বাজারে কমতে শুরু করেছে মসলার দাম। কেজি প্রতি প্রকারভেদে ৫০ থেকে ৪০০ টাকা পর্যন্ত কমেছে দাম। এতে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে সাধারণ ক্রেতাদের মাঝে। আমদানিকৃত মসলা জাতীয় পণ্য দ্রুত খালাসপূর্বক সকল ধরনের সহযোগিতা করছে হিলি কাস্টমস।
বুধবার (২৮ মে) দুপুরে হিলির বাজার ঘুরে এ তথ্য পাওয়া যায়।
আর মাত্র দেড় সপ্তাহ পরই কোরবানির ঈদ। এই ঈদে মসলা জাতীয় পণ্যের চাহিদা বেশি থাকে। তবে গত বছরের তুলনায় এ বছর মসলার দাম অনেকটাই কম। বর্তমানে হিলির বাজারে সাদা এলাচের দাম কেজিতে ৪০০ টাকা কমে প্রকারভেদে খুচরা বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার ৮০০ থেকে ৫ হাজার টাকা কেজি দরে। কালো এলাচ ২০০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৬০০ টাকা কেজিতে। দারুচিনি ৪২০ থেকে ৫৬০ টাকা, লবঙ্গ ১ হাজার ৪০০ টাকা ও গোলমরিচ বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ১০০ টাকা কেজি দরে। দাম কমাতে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে সাধারণ ক্রেতাদের মাঝে। আমদানি বেশি এবং বাজারে সরবরাহ বৃদ্ধির কারণে কমেছে দাম, বলছেন বিক্রেতারা।
হিলি বাজারের কয়েকজন বিক্রেতা বলেন, এক থেকে দেড় সপ্তাহ ধরে জিরাসহ প্রায় মসলার দাম কমে গেছে। হিলি বন্দর দিয়ে জিরাসহ সব মসলার আমদানি বেড়েছে, যার কারণে দামও কমে গেছে। দেশের বিভিন্ন স্থান রংপুর, গাইবান্ধা, বগুড়া, রাজশাহী ও ঢাকা থেকে ক্রেতারা আসেন মসলা কিনতে। ঈদ উপলক্ষে বেচাবিক্রি মোটামুটি শুরু হয়েছে। ঈদের আগমুহূর্তে বেচাবিক্রি আরও বাড়বে।
হিলি কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা মোহাম্মদ নিজাম উদ্দীন বলেন, কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আদা, জিরা, সাদা এলাচসহ বিভিন্ন মসলা জাতীয় পণ্যের আমদানি বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশের বাজারে আমদানিকৃত পণ্য বাজারজাত করতে সকল ধরনের সহযোগিতা করছে হিলি কাস্টমস। চলতি মাসের ২৭ মে পর্যন্ত ৪১ ট্রাকে ৭৫০ মেট্রিকটন আদা এবং ১০৪ ট্রাকে ৩ হাজার ১৩৫ মেট্রিকটন জিরা আমদানি হয়েছে এই স্থলবন্দর দিয়ে।