হোয়াটসঅ্যাপের অর্থ উপার্জনের প্রধান উৎস হলো ব্যবসায়িক মডেল ও বিজ্ঞাপনসেবা। ২০১৪ সালে ফেসবুক (মেটা) হোয়াটসঅ্যাপ অধিগ্রহণ করার পর তারা বিভিন্ন মডেলের মাধ্যমে প্ল্যাটফর্মটি থেকে আয় বাড়ানোর চেষ্টা করছে। এই উপার্জনের মূল পদ্ধতিগুলি হলো:
১. হোয়াটসঅ্যাপ বিজনেস অ্যাপ
হোয়াটসঅ্যাপ একটি আলাদা বিজনেস অ্যাপ চালু করেছে, যেটা মূলত ছোট ও মাঝারি ব্যবসায়ীদের জন্য তৈরি। এখানে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান তাদের পণ্যের সাথে গ্রাহকদের সরাসরি যোগাযোগ করতে পারে এবং তাদের জন্য কাস্টমাইজড সেবা প্রদান করতে পারে। হোয়াটসঅ্যাপ এই ধরনের ব্যবসা অ্যাকাউন্ট থেকে উপার্জন করে।
২. হোয়াটসঅ্যাপ বিজনেস এপিআই
হোয়াটসঅ্যাপের বিজনেস এপিআই মূলত বড় প্রতিষ্ঠানের জন্য। প্রতিষ্ঠানগুলো এই এপিআই ব্যবহার করে গ্রাহকদের সাথে যোগাযোগ, কাস্টমার সার্ভিস, এবং অন্যান্য বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালনা করে। এটি ব্যবহারের জন্য ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানগুলোকে নির্দিষ্ট ফি দিতে হয়, যার মাধ্যমে হোয়াটসঅ্যাপ আয় করে।
৩. ক্লিক-টু-চ্যাট বিজ্ঞাপন
ফেসবুক এবং ইনস্টাগ্রামে ক্লিক-টু-চ্যাট বিজ্ঞাপনগুলি রয়েছে, যা গ্রাহকদের সরাসরি হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে ব্যবসার সাথে সংযুক্ত করে। ফেসবুক এই ধরনের বিজ্ঞাপন থেকে আয় করে, এবং হোয়াটসঅ্যাপও এই মডেলের অংশীদার।
৪. পরিষেবা এবং ডেটা এনালিটিক্সের মাধ্যমে
হোয়াটসঅ্যাপ তার ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত ডেটা বিক্রি করে না, তবে প্রতিষ্ঠানটি গ্রাহকদের সাথে ব্যবসায়িক যোগাযোগের মান উন্নত করার জন্য ডেটা এনালিটিক্স ব্যবহার করে। এই পরিষেবাগুলি ব্যবসায়ীদের সহায়তা করে, যা পরোক্ষভাবে হোয়াটসঅ্যাপের আয়ের উৎস হতে পারে।
৫. ফিচার আপডেট এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
মেটা সম্প্রতি হোয়াটসঅ্যাপে পেমেন্ট ফিচার যুক্ত করেছে, যা বর্তমানে বিভিন্ন দেশে পরীক্ষামূলকভাবে চালু রয়েছে। পেমেন্টের মাধ্যমে হোয়াটসঅ্যাপ ভবিষ্যতে আরও বেশি রাজস্ব আয় করতে পারে।
হোয়াটসঅ্যাপের ব্যবসায়িক মডেল ধীরে ধীরে আরো শক্তিশালী হচ্ছে, এবং ভবিষ্যতে এটি আরও বেশি বৈচিত্র্যময় আয়ের সুযোগ তৈরি করতে পারে।
আয়নুল/