সর্বজনীন পেনশন ‘প্রত্যয়’ স্কিম বাতিলের দাবিতে শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের টানা ৪র্থ দিনের কর্মবিরতিতে অচল হয়ে পড়েছে সারা দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ন্যায় নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম। সেইসাথে ক্লাস-পরীক্ষা কার্যক্রমও।
৪ জুলাই (বৃহস্পতিবার ) জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনিক ভবনের নিচে সকাল ০৯.০০ টা থেকে কর্মকর্তা, কর্মচারী ঐক্য পরিষদের আয়োজনে এবং আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় অফিসার্স ফেডারেশনের আহবানে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি ও ৪র্থ দিনের অবস্থান কর্মসূচি চলমান। বিকাল ৫.০০টা পর্যন্ত এ কর্মসূচি চলবে।
গতকাল কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য পরিষদ কতৃক প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা যায় বাংলাদেশ আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় অফিসার্স ফেডারেশনের সিদ্ধান্তরে সাথে একমত পোষণ করে তাদের দাবি না মানা হলে অনির্দিষ্ঠ কালের জন্য সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ন্যায় তাদের কর্মকর্তা, কর্মচারী ঐক্য পরিষদ, জাককানইবি কর্মবিরতি ও প্রতিবাদ সমাবেশ চলবে।
এর আগে ২৯ শে জুন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন কর্তৃক ঘোষিত কর্মসূচির সঙ্গে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি একাত্মতা পোষণ করে। আর এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় যে, ১লা জুলাই ২০২৪ তারিখ থেকে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালিত হবে (ক্লাস, পরীক্ষা, দাপ্তরিক কাজসহ সবকিছু বন্ধ থাকবে)। এবং আগামী ৭ জুলাই শিক্ষক লাউঞ্জ মুখবন্ধে সকাল ১১ টায় আমরা সকলে উপস্থিত হয়ে সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করা হবে।
গত রোববার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতির ঘোষণা দেয় বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের মহাসচিব মো. নিজামুল হক ভূঁইয়া। এরপর ১জুলাই থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য সর্বাত্মক কর্মবিরতি শুরু করেছে দেশের ৩৫টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
উল্লেখ্য,গত ১৩ মার্চ একটি প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, সব স্ব-শাসিত, স্বায়ত্তশাসিত, রাষ্ট্রায়ত্ত, সংবিধিবদ্ধ বা সমজাতীয় সংস্থা ও তাদের অধীন অঙ্গ-প্রতিষ্ঠানগুলোর চাকরিতে যেসব কর্মকর্তা বা কর্মচারী চলতি বছরের ১ জুলাই ও তার পরে নতুন যোগদান করবেন, তাদের সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনা আইনের অন্তর্ভুক্ত করবে সরকার।
রিভা সুলতানা,
নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়