৭ গোলে চ্যাম্পিয়নস লিগে নতুন রেকর্ড আর্সেনালের
প্রায় দুই দশক আগে যে দলের কাছে ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতার শেষ ষোলো থেকে বিদায় নিতে হয়েছিল, এবার সেই একই প্রতিপক্ষকে বিধ্বস্ত করল আর্সেনাল। চ্যাম্পিয়নস লিগের নকআউট পর্বে ইতিহাস গড়ে মিকেল আরতেতার দল প্রতিপক্ষের মাঠে ৭-১ ব্যবধানে জয় পেয়েছে, যা এই পর্যায়ে প্রথমবারের মতো কোনো দলের মাঠে ৭ গোল করার নজির।
২০০৬ সালে চ্যাম্পিয়নস লিগে রানার্সআপ হওয়া আর্সেনাল পরের আসরেই শেষ ষোলোতে পিএসভি আইন্দহফেনের বিপক্ষে ২-১ ব্যবধানে হেরে বিদায় নিয়েছিল, যেখানে নেদারল্যান্ডসের ফিলিপস স্টেডিয়ামে তাদের হার ছিল ১-০ গোলে। এবার একই মঞ্চে, একই মাঠে নেমে সেই অতীত স্মৃতি ভুলিয়ে দেওয়ার মতো পারফরম্যান্স দেখিয়েছে আর্সেনাল।
প্রিমিয়ার লিগে সাম্প্রতিক ফর্ম ভালো না থাকার পাশাপাশি দলের গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় বুকায়ো সাকা, গ্যাব্রিয়েল জেসুস ও গ্যাব্রিয়েল মার্তিনেল্লির না থাকা আর্সেনালের জন্য শঙ্কার কারণ ছিল। তবে মাঠে সেই শঙ্কা দূর করে একের পর এক গোল উৎসবে মেতে ওঠে দলটি।
খেলার ১৮ মিনিটে জুরিয়েন টিম্বারের গোলে লিড নেয় আর্সেনাল, তিন মিনিট পর ইথান নোয়ানেরির গোলে ব্যবধান হয় দ্বিগুণ। ৩১ মিনিটে মিকেল মেরিনো দলের তৃতীয় গোলটি করেন। প্রথমার্ধের শেষ দিকে পিএসভি একটি পেনাল্টি পায়, যেখানে নোয়া লাং গোল করে ব্যবধান কমান (৩-১)।
দ্বিতীয়ার্ধে আরও বিধ্বংসী হয়ে ওঠে আর্সেনাল। ৪৭ ও ৭৩ মিনিটে দুই গোল করেন অধিনায়ক মার্টিন ওডেগার্ড, আর ৪৮ মিনিটে লিয়ান্দ্রো ত্রোসার ও ৮৫ মিনিটে রিকার্দো কালাফিওরি গোল করে স্কোরলাইন ৭-১ করে ফেলেন।
পিএসভি পুরো ম্যাচে আর কোনো গোলের দেখা পায়নি, বরং নিজেদের ঘরের মাঠে ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতায় সবচেয়ে বড় ব্যবধানে হারের লজ্জায় ডুবে যায়।
এই জয়ের মাধ্যমে শেষ আটের পথে এক পা দিয়ে রাখল আর্সেনাল। কোয়ার্টার ফাইনালে তারা মুখোমুখি হবে রিয়াল মাদ্রিদ ও আতলেতিকো মাদ্রিদের মধ্যকার জয়ী দলের। প্রথম লেগে বার্নাব্যুতে রিয়াল মাদ্রিদ ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছে।
এদিকে, রাতে অন্য ম্যাচে অ্যাস্টন ভিলা ৩-১ গোলে ক্লাব ব্রুগাকে হারিয়েছে, আর ডর্টমুন্ড নিজেদের মাঠে এগিয়ে থেকেও লিওর বিপক্ষে ১-১ ড্র করেছে।