কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ। তবে কারো নাম না উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা দুষ্কৃতকারীদের আসামি করা হয়েছে।
বুধবার (১৭ জুলাই) রাজধানীর কোতয়ালী থানায় এ মামলা করেন থানার এসআই সঞ্জয় কুমার দাস। এদিন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শান্ত ইসলাম মল্লিক মামলার এহজার গ্রহণ করে প্রতিবেদন গ্রহণ করে প্রতিবেদন দাখিরের জন্য আগামী ১৪ আগস্ট দিন ধার্য করেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) সিএমএম কোর্টের মেইন গেইটের সামনে পাকা রাস্তা উপর অজ্ঞাতনামা দুষ্কৃতিকারীরা ঘটনাস্থলে বে-আইনীভাবে দলবদ্ধ হয়ে দেশী অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে দাংঙ্গা করে পথচারীসহ কতিপয় ব্যক্তিকে হত্যার উদ্দেশ্যে মারপিট করে রক্তাক্ত জখমসহ গুলি করে। এসময় পলাতক অজ্ঞাতনামা দৃষ্কৃতিকারীরা পার্কিং করা কতিপয় গাড়ি ভাংচুর ও ক্ষতিসাধন করেন। মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধি আইনের ১৪৩, ১৪৭, ১৪৮, ১৪৯, ৪২৭, ৩২৩, ৩২৪, ৩২৬, ৩০৭ ও ৩৪ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
এবিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের ১৩ ব্যাচের শিক্ষার্থী রাকিব বলেন, যুগ এখন উল্টো হয়ে গেছে। সত্য মিথ্যা হয়েছে গেছে, আর মিথ্যা সত্য হয়ে গেছে। যৌক্তিক আন্দোলনে আমার ভাই বোনেরা গুলি খেল। আবার এ ঘটনায় উল্টো আমরা শিক্ষার্থীরাই মামলা খেলাম। এ ঘটনা জাতি দেখেছে। কোনটা সত্য আর কোনটা মিথ্যা।
এদিকে জানা যায়, মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে জবি থেকে কয়েক হাজার আন্দোলনকারী লাঠিসোঁটা নিয়ে রায়সাহেব বাজার অতিক্রম করার সময় শিক্ষার্থীদের ওপর গুলি ও হামলার ঘটনা ঘটে। এতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের চারজন ও কবি নজরুল সরকারি কলেজের একজন শিক্ষার্থী মারাত্মকভাবে গুলিবিদ্ধ হন।
শিক্ষার্থীদের সূত্রে জানা যায়, গুলিবিদ্ধ হওয়া ৪ জন হলেন- জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭ ব্যচের মার্কেটিং বিভাগের এর শিক্ষার্থী অনিক, ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ১৬ ব্যাচের শিক্ষার্থী ফেরদৌস জামান, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ১৬ ব্যাচের এইচ এম নাসিম, পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের ১৮ ব্যাচের মেহেদী হাসান প্রোভা ও কবি নজরুল কলেজের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ২০২১-২২ সেশনের শিক্ষার্থী হাসিব।
মাহমুদুল হাসান মামুন
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়