ওয়্যারলেস ফিডেলিটি বা ওয়াই-ফাই (Wi-Fi) আবিষ্কৃত হয় ১৯৯৭ সালে। এই আবিষ্কারের মধ্য দিয়েই সাধিত হয় যোগাযোগ ব্যবস্থার বৈপ্লবিক পরিবর্তন। এর আগে যাঁরা মুঠোফোনের ‘হটস্পট’ অপশান নিয়ে বুঁদ হয়ে ছিলেন; তাঁরা মজে যান ওয়াই-ফাইয়ের দুর্দান্ত গতিতে। এক কথায় পুরো বিশ্বেই ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পড়ে এই পরিষেবা। অফিস থেকে বাসা, বাসা থেকে বড় বড় বিপণীকেন্দ্র— সব স্থানেই মানুষ সংযোগ নিতে শুরু করেন ওয়াই-ফাইয়ের, কেনেন রাউটার ও তৎসংশ্লিষ্ট যন্ত্র।
তবে শুরুর দিকে ভালো সেবা দিলেও, কয়েকদিন যাবার পর দরকারের সময় ওয়াই-ফাইয়ের গতি বেশ কমে গিয়েছে বলে অভিযোগ করতে দেখা যায় অনেক গ্রাহককেই। তাই, প্রয়োজনের সময়ে ওয়াই-ফাইয়ের গতি বৃদ্ধির কৌশলগুলো জেনে নিন একনজরে:
• ওয়াই-ফাইয়ের রাউটারটি অফিস বা বাসার তুলনামূলক উন্মুক্ত স্থানে রাখা, যেন সেটি সহজেই পর্যাপ্ত পরিমাণে সংকেত বা সিগন্যাল পায়।
• ওয়াই-ফাইয়ের রাউটারটি যে স্থানে রয়েছে, তার নিকটে বসে কাজ করা।
• রাউটারের ফার্মওয়্যারটি নিয়মিত হালনাগাদ (Update) করা।
• রাউটারটির সঙ্গে ‘ব্যান্ড স্টিয়ারিং’ যুক্ত করা যেতে পারে। এটি নির্দিষ্ট ডিভাইস ব্যবহারের ক্ষেত্রে বাড়তি সুবিধা দেবে। তবে এতে কিছুটা বেশি অর্থ ব্যয় করতে হতে পারে।
• একটি রাউটারের সঙ্গে একসঙ্গে একাধিক ডিভাইস যুক্ত থাকলে স্বাভাবিকভাবেই ওয়াই-ফাইয়ের গতি কিছুটা হ্রাস পায়। তাই বেশি দরকারের সময়ে যে ডিভাইসগুলো ব্যবহার করা হবে, শুধু সেগুলোকেই সংযুক্ত রাখা।
• বেশি পুরোনো ডিভাইসে ওয়াই-ফাইয়ের সংযোগ না দেওয়াই উত্তম। কেননা এ সব ডিভাইসে অল্প কাজ করতে অন্যান্য ডিভাইসের চেয়ে বেশি গতির প্রয়োজন হয়।
• যে কোনো ডিভাইসে কোনো নির্দিষ্ট অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহারের সময় অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ্লিকেশনগুলো বন্ধ রাখা। এতে ওয়াই-ফাইয়ের ওপর অযথা চাপ কমে যাবে।