কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) আবাসিক হল পরিদর্শন করে ৪কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম সাব্বির সাত্তার।
পরিদর্শন শেষে উপাচার্য বলেন, ১৬ জুলাই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের যে ধ্বংসযজ্ঞ ঘটেছে, এতে প্রশাসনিক ভবনসহ ৯টি হলের ১৫৮টি কক্ষে ভাংচুর করা হয়েছে। এতে আনুমানিক ৪কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হলগুলো মেরামত শেষে দ্রুতই হল খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
রোববার (২৮ জুলাই) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের হল পরিদর্শন করেন রাবি উপাচার্য। বঙ্গবন্ধু হল থেকে পরিদর্শন শুরু করে নবাব আব্দুল লতিফ হল, মাদার বখশ হল ও শহীদ জিয়াউর রহমান হল পরিদর্শন করেন।
শহীদ জিয়াউর রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ ড. নাসিরুদ্দিন জানান, ১৬ জুলাই কোটা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের আড়ালে একদল হামলাকারী হলে প্রবেশ করে প্রায় ১১টি কক্ষে ভাংচুর চালায়। এতে অনেক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম সাব্বির সাত্তার বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন ও ৯টি হলে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও আগুন দেয়া হয়েছে। এমনকি বেশ কিছু হলের জানালাও খুলে নিয়ে গেছে হামলাকারীরা। কয়েকটি হল বসবাসেরও অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এতে আনুমানিক চার কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
এ বিষয়ে উপাচার্য আরও বলেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে আমরা হলে খুলতে চাই। এর আগে হলগুলো ঠিক করতে হবে। আমরা এরই মধ্যে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিনকে আহ্বায়ক করে ৫ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি করেছি। তদন্ত কমিটিকে ৮ সপ্তাহ সময় দেয়া হয়েছে। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয় ও তদন্ত শেষ করলে আমরা হলগুলো মেরামতের কাজ শুরু করব। মেরামতের কাজ শেষ হলেই হল খোলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব।
এ সময় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য, রেজিস্ট্রার, প্রক্টর , ছাত্র উপদেষ্টা, জনসংযোগ কর্মকর্তা, শিক্ষক সমিতির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ সংশ্লিষ্ট হলের প্রাধ্যক্ষরা উপস্থিত ছিলেন।