যবিপ্রবি প্রতিনিধি: দেশব্যাপী চলমান এই সহিংসতা , হামলা, ভাংচুর এবং ডাকাতি প্রতিরোধের কাজ করছে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (যবিপ্রবি) এর শিক্ষার্থীরা। দেশের সার্বিক নিরাপত্তার কাজে বাংলাদেশ পুলিশ না আশা পর্যন্ত এইসকল কার্যক্রমকে চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তাঁরা।
গত ৫আগস্ট সরকার পতনের পর থেকেই সারাদেশের বিভিন্ন স্থাপনা, ঘর-বাড়ি, মন্দির ও সংখ্যালঘু ধর্মাবলম্বী মানুষের ওপরে এই হামলা, ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটছে।
এ সকল সহিংসতাকে প্রতিরোধ করতে যবিপ্রবি এর সাধারণ শিক্ষার্থীরা মিলে একটি সমন্বয়ক দল গঠন করে। যারা যশোরের মুরলীর মোড়, চাঁচড়া, সাজিয়ালি,খাঁজুরা, চৌগাছা ও ঝিকরগাছা সহ বিভিন্ন স্কুল কলেজে গিয়ে গিয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থী সহ সকল সাধারণ মানুষদের সাথে কথা বলছে ও সচেতনতা সৃষ্টি করছে। একইসাথে শিক্ষার্থীদের সাথে সমন্বয়সাধন করে সহিংসতা প্রতিরোধ কমিটি ও গঠন করেছে তারা। যেকোনো ধরনের ঘটনা ঘটলে ঐ এলাকার সার্বিক নিরাপত্তায় ভূমিকা রাখবে বলে জানিয়েছে।
সার্বিক কার্যক্রমের বিষয়ে যবিপ্রবির বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী মাসুম বিল্লাহ বলেন, চলমান সহিংসতা প্রতিরোধে আমরা বিভিন্ন এলাকা ভিত্তিক টিম তৈরি করছি। যেকোনো সময় হামলা হলে এবং আমরা তথ্য পেলেই তাৎক্ষণিক ঐ এলাকার টিমকে পাঠিয়ে দেয়।
তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন এলাকা থেকে আমাদের ফোন আসতেছে। রাত্রে ডাকাতি হবে, এছাড়া টাকা না দিলে বাড়িতে হামলা করবে , মন্দিরে হামলা করবে, এই নিয়ে আতঙ্কগ্রস্ত সবাই। এইসকল ঘটনায় আমরা আমাদের দিক থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করতেছি মানুষের পাশে থাকার জন্য।
এছাড়াও চলমান এই সহিংসতা প্রতিরোধে সর্বোচ্চ সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দান করে তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশ্ববর্তী এবং যশোরের বিভিন্ন এলাকায় চুরি, ডাকাতি ও বাসা বাড়িতে হামলার ঘটনায় জনসচেতনতামূলক মাইকিং ও করছি আমরা। বাংলাদেশ পুলিশ এর সকল সদস্যরা দেশের জনগণের জন্য সার্বিক নিরাপত্তার কাজে না ফেরা পর্যন্ত আমাদের এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
উল্লেখ্য যে, এই গত তিনদিন যাবত যশোর জেলার বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে এইসব বিষয়ে জনসংযোগ করেছেন যবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা।
আমদাদুল/আরএ