বেরোবি প্রতিনিধি: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে ঘিরে গণ-অভ্যুত্থানে সরকার পতনের পর প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন ব্যক্তিবর্গ পদত্যাগ করায় অপরাধের অভয়ারণ্য পরিণত হয়েছে রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি) ক্যাম্পাস।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, প্রক্টর, ট্রেজারারসহ প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিদের আকষ্মিক পদত্যাগ এবং বিশ্ববিদ্যালয় পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ সদস্যরা এখনও কর্মস্থলে যোগ না দেওয়ায় অরক্ষিত হয়ে পড়েছে পুরো বেরোবি ক্যাম্পাস। পদত্যাগ করেছেন দুইটি হলের প্রভোস্টও।
এমন পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা বহিরাগতদের অবাধ বিচরণে অপরাধের স্বর্গরাজ্য হয়ে উঠেছে। অন্যদিকে দুইটি হলের প্রভোস্ট না থাকায় নিরাপত্তা সংকটে ভুগছে আবাসিক শিক্ষার্থীরা। থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭৫একর জুড়ে।
সম্প্রতি সোমবার (১২ আগস্ট) বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের ৩০৩ নম্বর কক্ষের তালা কেটে অবৈধভাবে দুজন শিক্ষার্থী আবাসিক শিক্ষার্থীদের জিনিসপত্র সরানোর চেষ্টা চালালে কয়েক আবাসিক শিক্ষার্থী ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের হস্তক্ষেপ তা থেকে রক্ষা পেলেও নিরাপত্তা সংকটে ভুগছে শিক্ষার্থীরা।
গত ১৬জুলাই পুলিশের গুলিতে আবু সাঈদ নিহতের ঘটনা বিশ্ব গণমাধ্যমে প্রচারের পর থেকেই আন্দোলনের হটস্পট হয়ে যায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়।
এই চরম সংকটে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এগিয়ে না আসা এবং সরকার পতনের পরই উপাচার্যসহ দীর্ঘদিন ধরে দাপটের সাথে থাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কর্তাবেক্তিদের হটাৎ পদত্যাগ পুরো ক্যম্পাস জুড়ে তীব্র সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।
দ্রুত সময়ের মধ্যে উপাচার্য, প্রক্টরসহ প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ দেওয়ার দাবি সাধারণ শিক্ষার্থীদের।
রাতুল/রুশু/আরএ