শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে নওগাঁ জেলার বলিহার ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মো: আতিকুর রহমান পদত্যাগ করেছেন।
বৃহষ্পতিবার (২২ আগষ্ট) বিকেলে তিনি কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি বরাবর পদত্যাগপত্র জমা দেন। পদত্যাগপত্রে তিনি শারীরিক ও মানসিকভাবে অসুস্থ উল্লেখ করেন। যার কারণে তার উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করা সম্ভব হচ্ছে না।
পদত্যাগ করার সময় বলিহার ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান হাতেম আলী ও ভীমপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য রেজাউল করিম রাজাসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সরকার পতনের পর গত ১৮ আগষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার দিন থেকেই ‘বলিহার ইউনিয়নের সচেতন নাগরিক ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ ব্যানারে কলেজ প্রাঙ্গনে বিক্ষোভ ও আন্দোলন চলতে থাকে এবং লিফলেট বিতরন করে আন্দোলনকারীরা। সেই লিফলেটে অধ্যক্ষ মো: আতিকুর রহমানের বিরুদ্ধে শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগ, প্রমোশন, অতিরিক্ত ফি আদায়, কলেজের নিজস্ব সম্পদ থেকে আহরিত অর্থসহ গত ৫ বছরে প্রায় ১ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে। এ ছাড়া শিক্ষক কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের সাথে অসৎ আচরন, সেচ্ছাচারিতা, ব্যক্তিস্বার্থ চরিতার্থ করার অনেক অভিযোগ রয়েছে।
এ ছাড়াও অত্র কলেজের নৈশপ্রহরী মন্জুর হোসেন মোল্লা জানান, আমার জামায় এনামুল হককে অত্র কলেজে ‘নিরাপত্তা প্রহরী’ পদে চাকুরী দেয়ার সময় ৩ লক্ষ টাকা ঘুষ নিয়েছেন অধ্যক্ষ আতিকুর রহমান, অথচ ৩ বছর হয়ে গেলও এখন পর্যন্ত আমার জামাতা বেতন পায়নি।
এ ব্যাপারে পদত্যাগ করা অধ্যক্ষ মো: আতিকুর রহমানের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি অর্থ আত্মসাতের বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে জানান, আমার কাছ থেকে জোর করে স্বাক্ষর নেয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে আপনি আইনের আশ্রয় নিলেন না কেন প্রশ্নের জবাবে জানান আমি চেষ্টা করছি।
এ ব্যাপারে কলেজের গভর্ণিং বডির সভাপতি ও নওগাঁ জেলা প্রশাসক (ভারপ্রাপ্ত) সোহেল রানার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমি এখনও পদত্যাগপত্র হাতে পায়নি। হাতে পেলে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে।