সম্পদের পাহাড় গড়ার অভিযোগে সাবেক ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়ার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অভিযোগ রয়েছে, ডিএমপিতে দায়িত্ব পালনকালে ‘ঘুষ’ এবং বদলি বাণিজ্যের মাধ্যমে তিনি বিপুল সম্পত্তি গড়েছেন, যা তার নিজের নামে ছাড়াও স্ত্রী, সন্তান ও শ্যালকদের নামে রয়েছে।
যুগান্তরের অনুসন্ধানি প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, আছাদুজ্জামানের মেয়ের নামে রয়েছে রাজধানীর অভিজাত এলাকা সিদ্ধেশ্বরীতে ১১ তলা একটি ভবনের একটি আলিশান ফ্ল্যাট। ধানমন্ডিতে শ্যালকের নামে আরও একটি বিলাসবহুল ফ্ল্যাট কিনেছেন তিনি। এছাড়া ইস্কাটন গার্ডেনে তার স্ত্রীর নামে একটি ফ্ল্যাট রয়েছে, যা ভাড়া দেওয়া আছে। তার ছোট ছেলের নামে নিকুঞ্জ-১ এ একটি বাড়ি রয়েছে, যেখানে আছাদুজ্জামান তার পরিবারের সাথে বসবাস করতেন।
অনুসন্ধানে জানা যায়, বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় তার স্ত্রীর নামে একটি বিশাল বাড়ি এবং পূর্বাচলে বিভিন্ন প্লটে জমি রয়েছে। এছাড়াও, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জে বিপুল পরিমাণ জমি কেনা হয়েছে তার স্ত্রীর নামে। এসব সম্পত্তি বেশিরভাগই গত কয়েক বছরে কেনা হয়েছে।
এছাড়াও, আছাদুজ্জামান মিয়া ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে দুটি কোম্পানির খোঁজ পাওয়া গেছে—মৌমিতা ট্রান্সপোর্ট লিমিটেড এবং শেপিয়ার্ড কনসোর্টিয়াম লিমিটেড। এই কোম্পানিগুলোর সাথে তার পরিবারের সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে।
দুদক সূত্র জানিয়েছে, আছাদুজ্জামান মিয়ার বিপুল সম্পদ এবং অনিয়মের অভিযোগের ভিত্তিতে অনুসন্ধান শুরু করা হয়েছে। সংস্থাটির সচিব খোরশেদা ইয়াসমীন বলেছেন, অভিযোগগুলো গুরুত্বের সাথে তদন্ত করা হবে।
আছাদুজ্জামান মিয়া আগেই দাবি করেছিলেন যে, তার এবং তার পরিবারের কোনো অবৈধ সম্পদ নেই এবং সব সম্পদ আয়কর বিবরণীতে উল্লেখ করা আছে। তিনি আরও বলেন, যদি কোনো সংস্থা তার সম্পদের বিষয়ে অনুসন্ধান চালায়, তবে তিনি এবং তার পরিবার সহযোগিতা করবেন।
এমএ//