ছাত্রজনতার গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর উপাচার্য এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের পদত্যাগের ফলে দেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো প্রশাসনিক শূন্যতায় অচল হয়ে পড়েছে রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (শেকৃবি)।
সরকার পতনের পরেরদিনই মঙ্গলবার (৬আগস্ট) বিকালে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, প্রক্টর ও ছাত্র পরামর্শককে পদত্যাগের আল্টিমেটাম দেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। তার প্রেক্ষিতে তারা রেজিস্ট্রার বরাবর পদত্যাগ পত্র জমা দেন। পরবর্তীতে আবাসিক হলের প্রভোস্টরাও পদত্যাগ করেন বলে জানা যায়।
ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যত স্থবির হয়ে রয়েছে সকল প্রশাসনিক কার্যক্রম। এমতাবস্থায়, দ্রুত শিক্ষার পরিবেশ সৃষ্টি করা না গেলে সেশনজটের আশঙ্কা করছেন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। এ প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান বলেন,”বতর্মানে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসিসহ প্রশাসনিক কাঠামোতে যে শূন্যতার সৃষ্টি হয়েছে তা দ্রুত নিষ্পত্তি করা প্রয়োজন। কারণ প্রায় দুমাস আগে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন শুরু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস-পরীক্ষাসহ সকল প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় খোলা থাকলেও আমাদের শিক্ষার্থীদের মাঝে বড় ধরনের সেশনজটে পড়ার আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে। তাই সরকারের উচিত অতি দ্রুত এ দিকে সুদৃষ্টি দিয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া।”
প্রশাসনশূন্য শেকৃবির একাডেমিক বিষয়ে জানতে চেয়ে কৃষি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. আলীর সাথে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি সাড়া দেননি।
এগ্রিবিজনেস ম্যানেজমেন্ট অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. অশোক কুমার ঘোষ বলেন,”বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসি, প্রো-ভিসি, প্রক্টরিয়াল বডি, বহিরাঙ্গণের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা এবং আবাসিক হলগুলোতে প্রভোস্টরা না থাকার কারণে আইনশৃঙ্খলার বিষয়টি দেখার কেউ নেই। প্রশাসনে নতুন দায়িত্বশীলরা না এলে, এ অবস্থায় নিয়মিত ক্লাস-পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব নয়। ইতিমধ্যে আমাদের ছয় মাসের সেমিস্টার থেকে দুমাস পিছিয়ে গিয়েছি। নতুন প্রশাসন এলে আমরা ডিন কাউন্সিল মিটিং করে কিভাবে ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়া যায় সে ব্যবস্থা নিবো।”
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার শেখ রেজাউল করিম বলেন,”আমি মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগের চেষ্টা করে যাচ্ছি যাতে অতিদ্রুত উপাচার্য নিয়োগ হয়। না হয় চলমান অচলাবস্থায় তো শিক্ষার্থীদের ক্ষতির পরিমাণ বাড়তেছে।”
মুমিত/এমএ//