ডিবি অফিসকে ভাতের হোটেলে পরিণত করা সাবেক ডিবি অফিসার হারুন। তিনি গর্ করে বলতেন এমন কোনো মানুষ নেই যে কিনা তার সাথে দেখা করতে এসে না খেয়ে ফিরে গেছেন। সাধারন মানুষের পাশাপাশি অগনিত সেলিব্রিটিও বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে তার কাছে আসতেন। অপু বিশ্বাস থেকে শুরু করে সিমরিন লুবাবা পর্ন্ত অনেকেই তার কাছ থেকে সাহায্য নিয়েছে।
তথ্যমতে,২০তম বিসিএসে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় পুলিশ ক্যাডারের একজন সদস্য হিসেবে ২০০০ সালে চাকরিতে যোগদান করেন হারুন এবং ২০২১ সালের মে’তে যুগ্ম কমিশনার হিসেবে গোয়েন্দা বিভাগে পদায়ন পান। এর আগে, ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার এবং নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুরে পুলিশ সুপার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
ডিবিতে যোগদানে যেন টাকার খনি পেয়েছিলেন হারুন। দেশে এবং বিদেশে গড়ে তুলেছেন সম্পদের পাহাড়।
এক উত্তরাতেই আছে তার দুই ডজনের বেশি বাড়ি ও ফ্ল্যাট। বনানী কবরস্থানের পাশে ২০ কাঠার একটি প্লট দখল করে সেটি একটি কোম্পানির কাছে ৭০ কোটি টাকায় বিক্রি করেন হারুন। কিশোরগঞ্জের মিঠামইনে শত কোটি টাকার আলোচিত প্রেসিডেন্ট রিসোর্টের মালিক হারুন অর রশীদ। বিদেশে অর্থ পাচারের সুবিধার জন্য হারুন গড়ে তোলেন নিজস্ব মানি এক্সচেঞ্জ। যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের নিউ হাইড পার্ক এলাকায় স্ত্রীর নামে পাঁচ মিলিয়ন ডলারের একটি বাড়ি কিনেছেন হারুন।সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে তার স্ত্রীর নামে একটি ব্যাংকে থাকা ১ হাজার ৫৩২ কোটি টাকা এফবিআইয়ের সুপারিশে আটকা পড়েছে। সে টাকা উদ্ধার করতে পারেনি হারুন অর রশীদ।
তবে এখন কোথায় আছেন এই ধনকুবের? ৫ই আগস্ট শেখ হাসিনার দেশ ছেড়ে পলায়নের পর থেকেই নিখোঁজ তিনি। কয়েকবার পুলিশের হাতে ধরা পড়েছেন শোনা গেলেও তার সবই ছিল গুজব। সবশেষ ৩০ আগস্ট শুক্রবার হারুন অর রশীদ আছে সন্দেহে উত্তরার একটি বাসা ঘিরে রেখে সেনাবাহিনীকে খবর দেন স্থানীয়রা, তবে বাড়িটি তল্লাশি করে তাকে সেখানে পাওয়া যায়নি।