বন্যার এই সংকটময় সময়ে সবাই নিজেদের সাধ্যমতো বন্যার্তদের সহায়তায় এগিয়ে আসছেন—এটাই বাংলাদেশের প্রকৃত চিত্র বলে মন্তব্য করেছেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী রাফিয়াত রশীদ মিথিলা। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।
বন্যার্তদের পাশে দাঁড়ানোর ব্যাপারে মিথিলা বলেন, “আমি আমার সাধ্যমতো চেষ্টা করছি। বন্যার সময় আমি সব সময় কিছু করার চেষ্টা করি। এবারও করছি, যতটুকু পারছি, করছি।”
মিথিলা অভিনীত সর্বশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি ‘কাজলরেখা’, যেখানে কংকন দাসি চরিত্রে অভিনয় করে প্রশংসা অর্জন করেছেন। এর আগে, কলকাতায় মুক্তি পেয়েছে তার অভিনীত সিনেমা ‘অরণ্যর প্রাচীন প্রবাদ’, যেখানে তিনি প্রশংসিত হয়েছেন। বর্তমানে তিনি নতুন সিনেমা বা ওয়েব সিরিজে অভিনয় করছেন না এবং বিরতিতে আছেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে রাজপথে তার উপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন করলে মিথিলা বলেন, “আমার শিক্ষা হচ্ছে—অন্যায় দেখলে প্রতিবাদ করা। আমি দেখেছি অন্যায় হচ্ছে, শিক্ষার্থীদের মারা হচ্ছে, তাই আমি প্রতিবাদ করেছি। আমার মতে, সবারই অন্যায় দেখলে প্রতিবাদ করা উচিত, তাহলেই ভালো কিছু হবে।”
তিনি আরও যোগ করেন, “মূল আন্দোলন করেছেন শিক্ষার্থীরাই। তাদের ধন্যবাদ ও ভালোবাসা প্রাপ্য। আমরা শুধু তাদের সমর্থন করেছি এবং পাশে থাকার চেষ্টা করেছি। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীরা ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে একত্রিত হয়ে রাস্তায় নেমেছিলেন। এটাই হওয়া উচিত—যেখানে অন্যায়, সেখানেই প্রতিবাদ করতে হবে। তাহলেই দেশ সুন্দর হবে। যখন অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হয়, আমাদের সংহতি জানানো দরকার। যে পরিবারের সদস্যরা মারা গেছেন, তারা জানেন কতটা কষ্ট হচ্ছে। এসব হত্যার দৃশ্য দেখেছি, মানবিক বিবেচনা থেকেই আমি সোচ্চার হয়েছি।”
বর্তমানে তার প্রত্যাশা সম্পর্কে জানতে চাইলে মিথিলা বলেন, “আমার আশা—অন্যায় যেন বন্ধ হয়। বিনাকারণে যেন কেউ মারা না যায়, ক্ষমতার অপব্যবহার যেন না হয়। দেশটি যেন সাম্যের প্রতীক হয়ে উঠুক এবং সকলের সমান অধিকার নিশ্চিত হয়।”
আরেক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “বন্যার এই সময়েও ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাই নিজেদের সাধ্যমতো বন্যার্তদের পাশে দাঁড়াচ্ছেন—এটাই আমার দেশ। বাংলাদেশে সাম্য প্রতিষ্ঠিত হোক।”