আপাতত চাল আমদানির পরিকল্পনা নেই অন্তর্বর্তী সরকারের। বন্যা হলেও দেশে এখন পর্যন্ত চাহিদা অনুযায়ী পর্যাপ্ত চাল রয়েছে। ১৫ লাখ টন খাদ্যশস্য মজুদ থাকার কথা ছিল, তবে আছে ২০ লাখ টন।
খাদ্য সচিব ইসমাইল হোসেন আজ রবিবার (১ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি।
সচিব বলেন, চালের দাম আগের চেয়ে কমেছে। স্বস্তিতে আছে মানুষ। মজুতবিরোধী অভিযান চলমান থাকায় বাজারে চালের দাম কমেছে। গত ১৫ দিনে ২ টাকা থেকে ৪ টাকা করে কমেছে প্রতি কেজি চালের দাম।
তিনি জানান, আগামী একমাসের মধ্যে বস্তার ওপরে ধান ও চালের নাম লেখা বাধ্যতামূলক করা হবে।
সচিব বলেন, অভ্যন্তরীণ বাজার থেকে খাদ্য সংগ্রহের টার্গেট পুরোপুরিভাবে সম্পন্ন হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে খাদ্য সংগ্রহ বেশি হয়েছে। দেশে খাদ্য মজুত সন্তোষজনক। খাদ্যের মজুত থাকার কথা ১৫ লাখ টন। এখন আছে প্রায় ২০ লাখ টন। সারা দেশে খাদ্য সরবরাহ স্বাভাবিক থাকায় দামও ধীরে ধীরে কমে আসছে।
তিনি বলেন, বন্যাকবলিত এলাকায় ওএমএস এবং খাদ্য সহায়তা কর্মসূচি চালু হবে আজ থেকে। যার মাধ্যমে ৩০ টাকা দরে চাল এবং ২৪ টাকা দরে আটা পাবে সাধারণ মানুষ। আগামী তিন মাস এ কর্মসূচি চলমান থাকবে। এতে সরকারের প্রায় ৯০ কোটি টাকা ব্যয় হবে।
আরএ//