বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় আওয়ামী লীগ সমর্থিত কিছু শোবিজ তারকা মিলে গঠন করেন ‘আলো আসবেই’ নামে একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ। সম্প্রতি, এই গ্রুপের কিছু স্ক্রিনশট সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়, যা ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে।
জানা যায়, গ্রুপটিতে আন্দোলন থামানোর জন্য বিভিন্ন কৌশল নিয়ে আলোচনা হচ্ছিল। এর মধ্যে এমনও পরামর্শ দেওয়া হয় যে প্রয়োজনে ছাত্রদের ওপর গরম পানি ঢেলে দেওয়া হোক। এই কথোপকথন সাধারণ মানুষের মধ্যে প্রিয় তারকাদের প্রতি ক্ষোভ সৃষ্টি করে, যা শোবিজ জগতের অন্যান্য তারকারাও প্রকাশ্যে সমালোচনা করেন।
সম্প্রতি, অভিনেত্রী মনিরা মিঠু দাবি করেন যে, ‘আলো আসবেই’ এর মতোই একটি গোপন গ্রুপ রয়েছে ‘অ্যাক্টর ইকুইটি’র। তিনি একটি ফেসবুক পোস্টে জানান যে, প্রায় ৮ মাস আগে একটি ধারাবাহিক নাটকের শুটিং চলাকালে তিনি ও ড. এজাজসহ আরও কয়েকজন একটি মজার ভিডিও করেন, যা তার ফেসবুক পেজে আপলোড করেন। ভিডিওটি ব্যাপকভাবে জনপ্রিয় হয়। কিন্তু, অ্যাক্টর ইকুইটি থেকে তাকে ভিডিওটি ডিলিট করার জন্য অনুরোধ করা হয়, যা তাকে বিস্মিত করে।
মিঠুর দাবি, সেই গোপন গ্রুপের একজন সদস্য তাকে স্ক্রিনশট পাঠান, যেখানে দেখা যায়, অভিনেতা সুজাত শিমুল তাকে নিয়ে তীব্র ভাষায় সমালোচনা করছেন। মিঠু এও উল্লেখ করেন যে, কোনো সিনিয়র সদস্য তাকে রক্ষা করার চেষ্টা করেননি। তিনি আরও বলেন, চুমকি তার সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে কথা না বলে বিষয়টি নিয়ে পেছনে সমালোচনা করেছেন, যা তাকে আহত করেছে।
অন্যদিকে, অভিনেত্রী নাজনীন হাসান চুমকি মিঠুর অভিযোগে বিস্ময় প্রকাশ করেন। তিনি ফেসবুকে এক পোস্টে জানান যে, ‘অ্যাক্টর ইকুইটি’র গ্রুপের আলোচনা ‘আলো আসবেই’ এর সাথে তুলনা করা অযৌক্তিক।
চুমকি আরও বলেন, মিঠু তার সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে এই বিষয় নিয়ে আগে আলোচনা করেছিলেন এবং তাদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির অবসান হয়েছিল। তবে, মিঠুর সাম্প্রতিক স্ট্যাটাস ও সংবাদ প্রকাশের পর চুমকি জানান যে, প্রয়োজন হলে তিনি সেই পুরোনো কথোপকথনের স্ক্রিনশট ও ভয়েস টেক্সট প্রকাশ করতে পারেন। মিঠু মন্তব্যে জবাব দেন যে, স্ক্রিনশট ও ভয়েস টেক্সট প্রকাশ করতে তার কোনো আপত্তি নেই।