প্রথম টিভি বিতর্কে কমলা হ্যারিস ও ডোনাল্ড ট্রাম্প একে অপরকে এক চুলও ছাড় দেননি, এবং এটি একটি ‘ফায়ারি ডিবেট’ বা অগ্নিঝড়া বিতর্ক হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। ট্রাম্প যেখানে পুতিনকে বন্ধু ভাবার চেষ্টা করছেন, সেখানে কমলা হ্যারিস মন্তব্য করেন যে, পুতিন সুযোগ পেলে ট্রাম্পকে দুপুরের খাবারে (লাঞ্চে) খেয়ে ফেলবেন।
বিতর্কে কমলা হ্যারিস অভিযোগ করেন, ডোনাল্ড ট্রাম্প পুতিনের মতো এক স্বৈরাচারী ব্যক্তিকে আঁকড়ে ধরে আছেন। তিনি ট্রাম্পের প্রতি আক্রমণ শাণিয়ে বলেন, পুতিনের চাপের সামনে ট্রাম্প সহজেই গলে যাবেন।
হ্যারিস বলেন, “পুতিন কিয়েভে বসে বাকি ইউরোপের ওপর নজর রাখতেন, আর এটি শুরু হতো পোল্যান্ডকে দিয়ে।” এরপর ট্রাম্পকে উদ্দেশ্য করে বলেন, “আপনি কবে ভাগ্যের ওপর নির্ভর করা বন্ধ করবেন এবং একজন স্বৈরাচারী ব্যক্তিকে বন্ধু ভাবা বন্ধ করবেন, যিনি যে কোনো মুহূর্তে আপনাকে তার দুপুরের খাবার হিসেবে খেয়ে ফেলতে পারেন।”
এর আগে, ২০২৩ সালের মার্চে ফক্স নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প দাবি করেছিলেন, তিনি একাই ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে পারবেন, এবং তা সম্পূর্ণ শান্তি আলোচনার মাধ্যমে। তবে ঠিক কীভাবে তিনি এমনটি করবেন, তা তিনি বিস্তারিত জানাননি।
এটি প্রথমবার নয়, এর আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ট্রাম্প একই দাবির কথা বলেছিলেন। তিনি লিখেছিলেন, “যদি আমি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হতাম, তাহলে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুই হতো না। এখনও যদি আমাকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করা হয়, তাহলে মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে এই যুদ্ধ বন্ধ করে দিতে পারব। সাধারণ মানুষ যেভাবে প্রাণ হারাচ্ছে, তা মেনে নেওয়া যায় না।”
আজকের বিতর্কের আগে একাধিক জরিপে দেখা যায়, জনপ্রিয়তায় কমলা হ্যারিস ও ট্রাম্প সমান। শেষ পর্যন্ত দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্যগুলোর ফলাফলই নির্ধারণ করবে নির্বাচনের চূড়ান্ত ফলাফল। বিতর্কের সাফল্যের ওপর নির্ভর করবে কোন প্রার্থী এসব অঙ্গরাজ্যের ভোট বেশি টানতে পারবেন।