ঢাকায় পালিত হয়েছে পাকিস্তানের প্রতিষ্ঠাতা মুহাম্মদ আলী জিন্নাহর ৭৬তম মৃত্যুবার্ষিকী, যা উদযাপিত হয় উর্দু গান ও কবিতার মাধ্যমে। এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ না থাকলে পাকিস্তান গঠিত হতো না, আর পাকিস্তান ছাড়া বাংলাদেশও স্বাধীনতা পেত না।
বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) ঢাকার জাতীয় প্রেসক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে আয়োজিত স্মরণসভায় এই মন্তব্য করেন বক্তারা। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও, ঢাকায় নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার উপস্থিত ছিলেন না। তবে ডেপুটি হাইকমিশনার কামরান ধাঙ্গাল উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি জিন্নাহর জীবনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা নিয়ে আলোচনা করেন। এছাড়া জিন্নাহকে নিয়ে একটি উর্দু কবিতা পাঠ করেন জাফরুল হক জাফর, এবং পাকিস্তানি শিক্ষার্থীরা উর্দুতে গান পরিবেশন করেন।
সভাপতিত্ব করেন একাডেমির প্রেসিডেন্ট মুহাম্মদ আব্দুল জাব্বার। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন নাগরিক পরিষদের আহ্বায়ক মো. সামসুদ্দিন, সাংবাদিক মোস্তফা কামাল মজুমদারসহ আরও অনেকে।
মো. সামসুদ্দিন বলেন, “যদি ১৯৪৭ সালে বাংলাদেশ পাকিস্তানের অংশ না হতো, তাহলে আজ কাশ্মীরের মতো অবস্থা হতো। পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক সম্পর্ক আমাদের স্বাধীনতায় ভূমিকা রেখেছে।” তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশকে চীন ও পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখতে হবে।”
বক্তারা আরও বলেন, মুহাম্মদ আলী জিন্নাহর অবদানকে আমরা পুরোপুরি স্বীকার করি না, কিন্তু পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক রক্ষা করা উচিত। তারা আশা প্রকাশ করেন যে জিন্নাহর জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকী বাংলাদেশে প্রতি বছর পালিত হবে।
ডেপুটি হাইকমিশনার কামরান ধাঙ্গাল জিন্নাহর নেতৃত্বের প্রশংসা করে বলেন, “তার নেতৃত্বে মুসলিম লীগের গণআন্দোলন শুরু হয়, যা পাকিস্তানের জন্মের পথ তৈরি করে। জিন্নাহ পাকিস্তানের জন্য একটি প্রগতিশীল ও অন্তর্ভুক্তিমূলক রাষ্ট্রের স্বপ্ন দেখেছিলেন, যা এখনও প্রাসঙ্গিক।”