ঢাকাই সিনেমার কিংবদন্তি সালমান শাহ ১৯৯৩ সালে সোহানুর রহমান সোহানের ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ সিনেমার মাধ্যমে চলচ্চিত্রে প্রবেশ করেন। এতে তার বিপরীতে ছিলেন চিত্রনায়িকা মৌসুমী, যা মৌসুমীরও প্রথম সিনেমা।
সালমান শাহ মাত্র ৪ বছরে ২৭টি সুপারহিট সিনেমা উপহার দিয়েছেন। তার বেশিরভাগ সিনেমার নায়িকা ছিলেন শাবনূর, যার ফলে তাদের প্রেমের গুঞ্জন চলচ্চিত্রপাড়ায় শোনা যায়।
সালমান শাহের সাবেক স্ত্রী সামিরা খান এই বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন। তিনি জানান, “ইমন (সালমান শাহের ডাকনাম) এবং মৌসুমী সিদ্ধান্ত নিয়েছিল অভিনয় না করার। এটি শুরু হয় একটি সিনেমার শুটিং সেট থেকে। শুটিংয়ের সময় মৌসুমীর মা ও ইমনের মায়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এরপর তারা একসঙ্গে সিনেমা করার সিদ্ধান্ত নেননি। সেই সময়ে আমাদের নতুন নায়িকার সংকট দেখা দেয়, তখন শাবনাজ ও নাইম বিয়ে করেন। বিয়ের পর গুজব ছড়ায় যে শাবনাজ অভিনয় ছাড়বে, তাই নতুন নায়িকা খুঁজতে হয়। পরে আমরা শাবনূরকে দেখে সিদ্ধান্ত নিই তার সঙ্গে কাজ করা হবে।”
সালমান শাহ ও শাবনূরের প্রেমের গুঞ্জন নিয়ে সামিরা বলেন, “এই বিষয়টি সহজে বলা যায় না। এর পেছনে অনেক বড় গল্প রয়েছে। তবে যদি কেউ জানতে চায় সালমান শাহ ও শাবনূরের মধ্যে কোনো সম্পর্ক ছিল কিনা, তাহলে আমি এক বাক্যে বলব, হ্যাঁ, তাদের সম্পর্ক ছিল।”
তিনি আরও বলেন, “এই বিষয়টি জানার পর আমাদের মধ্যে সমস্যা তৈরি হয়। আমি রাগ করে বাবার বাসায় চলে গিয়েছিলাম। ইমন আমাকে অনেক বুঝানোর চেষ্টা করেছে এবং মাফও চেয়েছে। পরে সে আমাকে মানিয়ে নিয়ে আসে। দুই মাস পর ঢাকায় ফিরে আসি। ইমন আমাকে বলেছিল, শাবনূরের সঙ্গে যে সিনেমার চুক্তি আছে, সেগুলো শেষ হলেই আর তার সঙ্গে কাজ করবে না, এবং আমরা নতুন নায়িকা খুঁজব।”
প্রসঙ্গত, সালমান শাহর ক্যারিয়ার শুরু হয় টেলিভিশন নাটকের মাধ্যমে। ১৯৮৫ সালে বিটিভির ‘আকাশ ছোঁয়া’ নাটকে অভিনয় করে তিনি জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। এরপর ‘দেয়াল’ (১৯৮৫), ‘সব পাখি ঘরে ফেরে’ (১৯৮৫), ‘সৈকতে সারস’ (১৯৮৮), ‘নয়ন’ (১৯৯৫) এবং শেষ নাটক ‘স্বপ্নের পৃথিবী’ (১৯৯৬) এ অভিনয় করেছেন।