মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট (এসআরডিআই) এর ৮৯ জন প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তাকে বিসিএস (কৃষি) ক্যাডারে একীভূত করার লক্ষে মহামান্য আদালতের রায় দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য এসআরডিআই এর ডিজির মাধ্যমে সচিব, কৃষি মন্ত্রণালয় বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।
আজ সোমবার(২৩ সেপ্টেম্বর) প্রদান করা এ স্মারকলিপিতে কর্মকর্তারা উল্লেখ করেন, মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট (এসআরডিআই) কৃষি মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণাধীন একটি প্রতিষ্ঠান। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটি ক্যাডার ও নন-ক্যাডার দুইটি নিয়োগ বিধির মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে। এর ফলে কর্মকর্তাদের পদোন্নতি, পদায়ন, প্রশিক্ষণ সহ নানাবিধ বৈষম্য তৈরি হয়। বিশেষ করে নন-ক্যাডার কর্মকর্তাগণ সরাসরি কৃষক সেবার সাথে জড়িত থাকা সত্ত্বেও চরম বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন। ফলে প্রতিষ্ঠানটিতে কর্ম পরিবেশ বিঘ্নিত হচ্ছে এবং প্রতিষ্ঠানে স্থবিরতা দেখা দিচ্ছে।
এসব কারণে কৃষি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগের প্রেক্ষিতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সামগ্রিক এনক্যাডারমেন্ট করার নির্দেশনা দেয় । এর প্রেক্ষিতে এসআরডিআইতে ক্যাডার ও নন-ক্যাডার উভয় পক্ষের সমন্বয়ে একটি যৌথ কমিটি করা হয়। কমিটি আগ্রহী নন-ক্যাডার কর্মকর্তাদের বিশেষ বিধানের মাধ্যমে এনক্যাডার করার সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে । আগ্রহী নন-ক্যাডার কর্মকর্তাগণ বিশেষ বিধানের মাধ্যমে এনক্যাডার হওয়ার জন্য কৃষি সচিব মহোদয়ের বরাবর আবেদন করেন।
পরবর্তিতে নন-ক্যাডার কর্মকর্তাদের নিয়োগ বিধি (৯৮সালের) চ্যালেঞ্জ করে ক্যাডার কর্মকর্তাদের দায়েরকৃত মামলা (মামলা নং ১০৮৯৫/২০১২) গত ২০/৩/২০২৪ তারিখে হাইকোর্ট বিভাগ থেকে রায়ের মাধ্যমে পক্ষভূক্ত প্রথম শ্রেণির ৮৯ জন নন-ক্যাডার কর্মকর্তাকে বিশেষ বিধানের মাধ্যমে বিসিএস (কৃষি) ক্যাডারের সাথে একীভূত করার আদেশ প্রদান করেন।
এ প্রেক্ষিতে এসআরডিআই এর আন্যালাইটিক্যাল সার্ভিসেস উইং এর অধীনে প্রথম শ্রেণির ৮৯ জন নন-ক্যাডার কর্মকর্তাকে বিসিএস (কৃষি) ক্যাডারে একীভূত করার লক্ষ্যে হাইকোর্ট বিভাগের রায়ের দ্রুত বাস্তবায়নের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করেন তারা। তার আগে কর্মকর্তারা মানববন্ধন করে বিভিন্ন বৈষম্যের কথা তুলে ধরেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মৃত্তিকা সম্পদ ইন্নয়ন ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. জালাল উদ্দিন বলেন, রায় বাস্তবায়নের জন্য আমি কৃষি মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠিয়েছি। মন্ত্রনালয় থেকে পরবর্তীতে বৃহস্পতিবারের (১৯ সেপ্টেম্বর) মধ্যে আমি কেন আপিল করবো না এবং এক্ষেত্রে রায় বাস্তবায়ন হলে সরকারের আর্থিক কোনো ক্ষতি হবে কিনা জানতে চেয়ে জবাব চেয়েছে। বিভিন্ন কারণে এটা পাঠানো সম্ভব হয় নি। তবে মঙ্গলবার সকলের সাথে আলোচনা করে মন্ত্রনালয়ে পাঠিয়ে দেবো। কর্মবিরতির বিষয়ে তিনি বলেন, এখনও কর্মবিরতি শুরু হয় নি, আগামীকাল মন্ত্রণালয়ে জবাব না পাঠালে তারা কর্মবিরতিতে যাবে বলে জানতে পেরেছি।