জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) সাবেক শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম মোল্লার মৃত্যুর ঘটনায় দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহার করে তদন্ত সাপেক্ষে নতুন মামলা দায়ের করাসহ পাঁচ দফা দাবিতে মানববন্ধন করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে এ মানববন্ধন করেন শিক্ষার্থীরা। পরে একই দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি দেন তারা।
তাদের অন্য দাবিগুলো হলো – সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে জড়িতদের শাস্তি নিশ্চিত করা, শামীম মোল্লাকে প্রশাসনের কাছে হস্তান্তরের পর নিরাপত্তা অফিসের তালা ভেঙে কয়েক দফা মারধর এবং পুলিশের হস্তান্তরের আগ পর্যন্ত ঘটনার গভীর তদন্ত নিশ্চিত করা, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নিরাপত্তা কর্মী সুদীপ্ত শাহীনের বিতর্কিত কর্মকান্ড এবং ঘটনাস্থলে উপস্থিত নিরাপত্তা কর্মীদের বহিষ্কার করা, জুলাই-আগস্ট মাসে শিক্ষার্থীদের উপর নির্মম নির্যাতনের দ্রুত বিচার করা এবং ওই ঘটনায় জড়িত শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং কর্মচারীদের বহিষ্কার করে দ্রুত বিচারের আওতায় আনা।
মানববন্ধনে ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী নাদিয়া রহমান অন্বেষা বলেন, “শামীম মোল্লা হত্যার মামলায় যাদেরকে আসামি করা হয়েছে, সুষ্ঠু তদন্তের ভিত্তিতে তাদের প্রাপ্য শাস্তি যেন নিশ্চিত করা হয়। এখানে লঘু পাপে কেউ গুরু দন্ড পাক তা আমরা চাইনা। শামীম মোল্লাকে নিরাপত্তা অফিসে হস্তান্তরের পর তাকে কয়েক দফা গণপিটুনির সময় তার নিরাপত্তা কেন দায়িত্বরত নিরাপত্তা কর্মীরা নিশ্চিত করতে পারলেন না সেই জবাব প্রশাসনকে দিতে হবে। সুদীপ্ত শাহীন কিভাবে মামলার একজন আসামি হয়েও মামলা দায়ের করতে পারেন এবং স্ব-পদে বহাল থাকতে পারেন সেটিও প্রশাসনের কাছে আমাদের প্রশ্ন।”
একই বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী আশরাফুল আলম বলেন, “শামীম মোল্লাকে কয়েক দফায় গণপিটুনি দেওয়া হয়। এর মধ্যে প্রথম দফায় প্রান্তিক গেইটে গণপিটুনি দিয়ে তাকে প্রক্টরিয়াল টিমের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছিল। পরে কয়েকজন শিক্ষার্থী উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে নিরাপত্তা অফিসের কলাপসিবল গেইটের তালা ভেঙে তাকে কয়েক দফা বেধড়ক মারধর করে। তাহলে কিভাবে সবার একই শাস্তি হয়। আমরা চাই অতিদ্রুত সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে অপরাধের মাত্রা বিবেচনা করে সংশ্লিষ্ট সবাইকে বিচারের আওতায় আনা হোক।”
এ প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড কামরুল আহসান বলেন, “শিক্ষার্থীদের উত্থাপিত দাবিগুলো প্রশাসনিক সভায় আলোচনার মাধ্যমে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।”
রবিউল/আরএ//