২০১৮ সালে ওপার বাংলার জনপ্রিয় রিয়্যালিটি শো ‘সা রে গা মা পা’-তে একের পর এক দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দিয়ে আলোচনায় আসেন মাইনুল আহসান নোবেল। এরপর কবি নজরুলের “কারার ঐ লৌহকপাট”, নগর বাউল জেমসের “মা” এবং আইয়ুব বাচ্চুর “এই রুপালি গিটার” গানগুলোর মাধ্যমে কলকাতার মানুষের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেন।
তবে নোবেলের এই জনপ্রিয়তা দ্রুত বাংলাদেশেও ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু অল্প সময়ের মধ্যে তিনি সেই ভালোবাসা ধরে রাখতে পারেননি এবং অন্ধকারের গর্ভে হারিয়ে যান। তার বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়, এবং ‘মাদকাসক্ত’ তকমাও তার গায়ে লাগানো হয়। তার অনুরাগীরা কেবল তার সুস্থতা কামনা করতেন, কারণ তারা জানতেন, সুস্থ হয়ে ফিরে এলে আবার তার ঝাঁজালো গান শুনতে পাবেন।
দীর্ঘ সময় পরে সম্প্রতি নোবেল একের পর এক সাক্ষাৎকারে আসছেন। অনুরাগীরা জানতে চাচ্ছেন, তার অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে কি না। অবশেষে নোবেল জানান, তিনি ফিরে আসছেন তার আগের রূপ-গুণেই। তিনি বুঝতে পেরেছেন তার ভুলত্রুটি এবং নিজেকে সংশোধন করেছেন। তিনি জানান, আসক্তির কারণে কঠিন সময় কেটেছে এবং রিহ্যাবে কাটাতে হয়েছে।
নোবেল বলেন, “আমি একটা আসক্তিতে পড়ে যাই। আমার সম্মতিতে রিহ্যাবে গিয়েছিলাম। এখন আমি সম্পূর্ণরূপে এসব থেকে বিরত। সেই জগতে ফিরে যাওয়ার ইচ্ছা নেই। এখানে কাউকে দোষারোপ করার কিছু নেই, সবকিছুর জন্য আমি দায়ী।”
তিনি আরও বলেন, “অনেকের থেকে দূরে সরে যাওয়ায় একটা দূরত্ব তৈরি হয়। আমার কিছু কর্মকাণ্ড ভুল ছিল। সব মিলিয়ে আমার আচরণ পরিবর্তিত হয়ে গিয়েছিল। ইন্ডাস্ট্রিতে যারা আমাকে নিয়ে কাজ করতেন, তাদের সঙ্গে দূরত্ব সৃষ্টি হয়, যা ‘গায়েব’ হয়ে যাওয়ার কারণ।”
নোবেল স্বীকার করেন, মানুষের কাছ থেকে যে প্রত্যাশা ছিল, তিনি সে অনুযায়ী চলতে পারেননি। তার পেশা গান গাওয়া, এবং তার ভুলভ্রান্তি থেকে নিজেকে বিরত রাখতে পারলে তার পথ আরও সহজ হবে।
বর্তমানে নোবেলের হাতে কিছু গান এবং সিনেমা রয়েছে, যা ওটিটি প্ল্যাটফর্মের জন্য নির্মিত হবে। তার মধ্যে একটিতে তিনি খলনায়ক চরিত্রে অভিনয় করবেন। পর্দায় খলনায়ক চরিত্র নিয়েই ফিরে আসতে চান এই সংগীতশিল্পী।