২০০৯ সালে পিলখানার ৫৭জন সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জনকে নারকীয় হত্যাকান্ডের ঘটনায় ষড়যন্ত্রকারী ও মদদ দাতাদের বিচার এবং চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যদের চাকুরিতে পূর্নবহালের দাবীতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শহরের মুক্তিরমোড় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে নওগাঁ জেলা শাখার বিডিআর কল্যাণ পরিষদ ও ক্ষতিগ্রস্থ বিডিআর সদস্য এবং তাদের পরিবারবর্গদের আয়োজনে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়।
মানববন্ধন কর্মসূচিতে বিডিআর কল্যাণ পরিষদের সমন্বয়ক মো. দেলোয়া হোসেনের সভাপতিত্বে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন, বিডিআর সদস্য দুলাল হোসেন, কারাবন্দী বিডিআর সদস্য জাহাঙ্গীরের স্ত্রী রেশমা বানু, কারাবন্দী বিডিআর সদস্যের ছেলে রেজোয়ান, মৃত বিডিআর সদস্যের ছেলে মোহায়মেনুল হকসহ প্রমুখ।
সেসময় বক্তারা বলেন, পিলখানা হত্যাকান্ডে বিগত ফ্যাসিবাদী সরকার প্রধান শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কোন কুটকৌশল হাসিলের অংশ ছিল। সে ভারতকে সন্তুষ্ট করতে, সেনাবাহীনির সামর্থ ক্ষুন্ন করার লক্ষ্যে এবং বিডিআর বাহিনীকে ধ্বংস করতে এবং তার ক্ষমতাকে সূদৃঢ করতেই নীল নকশার অংশ হিসেবে সুপরিকল্পিত ভাবে ষড়যন্ত্র পূর্বক পিলখানায় হত্যাকান্ড সংঘটিত করেছে। পরিকল্পিত সেই হত্যাকান্ডে ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ মোট ৭৪ জন সাহাদাত বরণ করেন। চাকুরিচ্যুত ও কারাগারে বন্দী বিডিআর সদস্যদের অনেক পরিবার অনাহারে দুর্বিষহ জীবন যাপন করছেন বলেও জানান তারা।
কারাবন্দী বিডিআর এর ছেলে রেজোয়ান বলেন, আমি মাতৃগর্ভে থাকা আবস্থায় আমার
বাবাকে আটক করা হয়েছে। আমি জন্মের পর থেকে বাবা নামের মানুষটাকে ছুয়ে দেখতে পারিনি। আমি বাবাকে ছারা খুব কষ্টে আছি তাই আমি অন্তর্বতী সরকারের কাছে আকুল আবেদন বিডিআর এর সকল সদস্যদের সম্মানের সহিত কারাগার হতে নিঃশত মুক্তি এবং চাকুরিতে পূর্নবহাল করে দিবে এই আশা করি।
মানববন্ধন শেষে তারা নওগাঁ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আউয়ালের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেন।