বেরোবি প্রতিনিধি
রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে(বেরোবি) অভিযোগ উঠেছে আইন লংঘন করে উপাচার্য নিজেই জীব ও ভূ-বিজ্ঞান অনুষদের ডিনের দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন।
গত ২১ নভেম্বর ২০২৩ তারিখে রেজিস্ট্রার স্বাক্ষরিত এক আদেশে বলা হয়েছে উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ হাসিবুর রসীদ জীব ও ভূ-বিজ্ঞান অনুষদের ডিনের দায়িত্ব গ্রহণে সদয় সম্মতি জ্ঞাপন করেছেন। আদেশে আরও বলা হয়েছে উক্ত অনুষদে কর্মরত শিক্ষদের জ্যেষ্ঠতা নির্ধারণ নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত উপাচার্য জীব ও ভূ-বিজ্ঞান অনুষদের ডিনের দায়িত্ব পালনে সম্মতি জ্ঞাপন করেছেন।
এই আদেশের প্রেক্ষিতে জীব ও ভূ-বিজ্ঞান অনুষদে কর্মরত ১৯ জন শিক্ষক গত ৫ ডিসেম্বর ২০২৩ ইং তারিখে রেজিস্ট্রার বরাবর এই চিঠিতে আবেদন জানান। উল্লেখ্য যে,অভিযোগকারী শিক্ষকগণের মধ্যে ৮ জনই সহযোগী অধ্যাপক। অভিযোগে অনুষদের শিক্ষকরা জানান, এই অনুষদের কর্মরত শিক্ষকদের মাঝে জ্যেষ্ঠতা নিয়ে কোন দ্বিমত বা সংশয় নেই। তারা আরও জানান, এই অনুষদের বিভাগ দুটির মধ্যে কেউ অধ্যাপক পদে কর্মরত নেই এবং ইতোপূর্বে বিধি মোতাবেক এই অনুষদের বিভাগের সহযোগী অধ্যাপকদের মধ্যে থেকে অনুষদের ডিনের দায়িত্ব পালন করেছেন। যেহেতু অনুষদের শিক্ষকদের মাঝে জ্যেষ্ঠতা নিয়ে কোন রকম সংশয় নেই, সেহেতু অনুষদভূক্ত শিক্ষকগণের মধ্যে থেকেই ডিনের দায়িত্ব প্রদান করার অনুরোধ জানান তারা।
এদিকে উপাচার্যের এরকম হটকারী সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে শিক্ষকদের মধ্যে চড়ম অসন্তোষ ও অনিহা বিরাজ করছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের বেশির ভাগই মনে করেন এরকমভাবে দায়িত্ব প্রদান একরকম এলোমেলো সিদ্ধান্ত এবং এতে করে বিভাগের শিক্ষকদের মাঝে অস্থিতিশীলতা বিরাজ করতে পারে।
এ বিষয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড.মোহাম্মদ এমদাদুল হক বলেন,কোন প্রেক্ষাপটে আমাদের মধ্যে ঝামেলা চলছে চিঠিতে এটা পরিষ্কার করেন নাই।আমরা একটা আবেদনপত্র পাঠিয়েছি দ্রুত নিষ্পত্তি হবে।
এ বিষয়ে ভূগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড.মোছাঃ সিফাত রুমানা বলেন,আমাদের জানামতে জ্যেষ্ঠতা নির্ধারণ নিয়ে কোনো সমস্যা নাই। কর্তৃপক্ষ এখন কোন জায়গায় মনে করেছেন জ্যেষ্ঠতা নির্ধারণে দ্বিমত আছে এইটা আসলে কর্তৃপক্ষ ভালো উত্তর দিতে পারবে।
আমাদের মধ্যে এ নিয়ে কোনো ঝামেলা নাই তার প্রেক্ষিতে একটা অনুরোধপত্র দিয়েছি।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মোহাম্মদ আলমগীর চৌধুরী বরাবর শিক্ষকদের পাঠানো অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানাান, উপাচার্য নিশ্চয়ই কোনো দাবি দাওয়ার বিষয়, ডিপার্টমেন্টে বা ফ্যাকাল্টির কোনো স্বার্থের বিষয় আচঁ করেছেন।সেজন্য তিনি দায়িত্ব নিয়েছেন। শিক্ষকদের অভিযোগপত্র পেয়ে উপাচার্যের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছি।
আকবর আলী রাতুল
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়