বাংলাদেশের বিরুদ্ধে বিদ্বেষমূলক জনমত তৈরি করতে ভারত নতুন নতুন কৌশল অবলম্বন করে মিথ্যা প্রচারণা চালাচ্ছে, যা দেশটির স্থানীয় গণমাধ্যম থেকে মূলধারার গণমাধ্যমেও ছড়িয়ে পড়েছে।
এ ধরনের প্রচারণার সত্যতা যাচাইয়ে দেশি-বিদেশি ফ্যাক্টচেকিং প্রতিষ্ঠানগুলো বিভিন্ন মিথ্যা তথ্য উদঘাটন করেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, পরিস্থিতি সমাধানের জন্য দুই দেশের মধ্যে সরাসরি আলোচনার প্রয়োজন।
৫ আগস্টের পর থেকে বাংলাদেশের বিষয়ে ভারতের গণমাধ্যমে ব্যাপক মিথ্যা প্রচার দেখা যাচ্ছে। এর ফলে ভারত ও বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের মাঝে ভুল ধারণা তৈরি হচ্ছে। এমনকি আগরতলায় বাংলাদেশের উপ-হাই কমিশনে হামলার ঘটনাও ঘটেছে। এর প্রতিবাদে বাংলাদেশেও বিক্ষোভ হচ্ছে।
বাংলাদেশের একমাত্র ফেসবুক স্বীকৃত ফ্যাক্টচেকিং প্ল্যাটফর্ম ফ্যাক্টওয়াচ জানিয়েছে, সম্প্রতি বাংলাদেশের বিষয়ে ভারতীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত বেশিরভাগ খবর মিথ্যা তথ্যের ওপর ভিত্তি করে। এমনকি জার্মানির এক গবেষণা প্রতিবেদনে উঠে এসেছে যে, মিথ্যা প্রচারণার ক্ষেত্রে ভারত এখন শীর্ষে অবস্থান করছে।
ফ্যাক্টওয়াচের প্রতিষ্ঠাতা সুমন রহমান বলেন, ভারতীয় গণমাধ্যম, বিশেষত বাংলা ভাষার সংবাদমাধ্যমগুলো, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে বিদ্বেষমূলক মনোভাব তৈরি করছে।
এ বিষয়ে ইসকন বাংলাদেশের কার্য নির্বাহী কমিটির সদস্য হৃষীকেশ গৌরাঙ্গ দাস মন্তব্য করেন, এমন প্রচারণা দুই দেশের মধ্যে সম্প্রীতির ক্ষতি করছে। অন্যদিকে, সাবেক রাষ্ট্রদূত এম হুমায়ুন কবির বলেন, ভারতীয় গণমাধ্যমের এমন আচরণকে হালকাভাবে নেয়ার সুযোগ নেই। তবে এই প্রোপাগান্ডা বাংলাদেশের জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করেছে।
বিশ্লেষকরা মনে করেন, দ্বিপাক্ষিক আলোচনা ছাড়া এ পরিস্থিতি সমাধান সম্ভব নয়।
আরএস