সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের কাছে বন্দি থাকা এক মার্কিন নাগরিক, ট্র্যাভিস টিমারম্যান, অবশেষে মুক্তি পেয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, সাত মাস আগে সিরিয়ায় প্রবেশের সময় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।
সিবিএস নিউজকে টিমারম্যান জানান, বাশার আল-আসাদের সরকারের পতনের পর সোমবার অস্ত্রধারী দুই ব্যক্তি হাতুড়ি দিয়ে তার কারাগারের দরজা ভেঙে দেয়। এরপর তিনি মুক্ত হন এবং সিরিয়া থেকে বেরিয়ে জর্ডানে যাওয়ার চেষ্টা করেন। ৩০ বছর বয়সী এই ব্যক্তি বলেন, “আমাকে দরজা ভেঙে মুক্তি দেওয়া হয়, তবে আমি ভেবেছিলাম রক্ষীরা এখনও বাইরে আছে। কিন্তু বেরিয়ে দেখি কোথাও কোনো প্রতিরোধ নেই।”
টিমারম্যান জানান, তিনি তিন সপ্তাহ আগে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। তার মুক্তির পর, বিদ্রোহী বাহিনীর দখলে থাকা কারাগারগুলো থেকে হাজারো বন্দি মুক্তি পাচ্ছেন।
সিরিয়ায় আসাদ সরকারের পতনের পর বিদ্রোহীরা প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, কুখ্যাত কারাগারগুলো বন্ধ করে নির্যাতন ও হত্যার সঙ্গে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনা হবে। অধিকার গোষ্ঠীগুলোর মতে, আসাদের আমলে কারাগারগুলোতে প্রায় ৬০ হাজার মানুষকে নির্যাতন বা হত্যা করা হয়েছে।
বিদ্রোহী নেতা আবু মোহাম্মদ আল-জোলানি এক বিবৃতিতে বলেন, “আমরা সাবেক সরকারের নিরাপত্তা বাহিনী ভেঙে দেব এবং নির্যাতনে জড়িতদের কোনো ক্ষমা করা হবে না।” তিনি আরও জানান, যারা পালিয়ে বিদেশে আশ্রয় নিয়েছে, তাদের ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করার জন্য অন্যান্য দেশকে সহযোগিতা করতে বলা হবে।
এদিকে, সিরীয় নাগরিকরা কারাগারে গিয়ে প্রিয়জনদের সন্ধান করছেন। অধিকার সংস্থাগুলো সায়দনায়া কারাগারকে “মানব কসাইখানা” হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। ২০২২ সালের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, গৃহযুদ্ধ শুরুর পর সায়দনায়া কার্যত মৃত্যু শিবিরে পরিণত হয়েছিল।
আরএস//বিএন