খুবি প্রতিনিধি
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বিষয়ক পরিচালকের দপ্তর ৫ শিক্ষার্থীকে সহপাঠী মারধরের অভিযোগে শাস্তি প্রদান করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বিষয়ক পরিচালক প্রফেসর মো. শরীফ লেমন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় পরিকল্পনা করে সহপাঠীকে মেরে রক্তাক্ত করা এবং নারী সহপাঠীর গায়ে হাত তোলার অভিযোগে এ শাস্তি প্রদান করা হয়েছে।
অভিযুক্তরা হলো ডেভলপমেন্ট স্টাডিজ ডিসিপ্লিন এর আরিফুল ইসলাম ও আদনান বিন আলম, ব্যবসায় প্রশাসন ডিসিপ্লিন এর আলী হোসেন ইমন ও জিহাদ হাওলাদার। যারা প্রত্যেকে কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ডিসিপ্লিন এর শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান জুবায়ের ও অর্ণবকে মারার অভিযোগে অভিযুক্ত। অন্যদিকে নিজ সহপাঠী সারা মারিয়ামকে শারীরিকভাবে আঘাত করার অভিযোগে বায়োটেকনোলজি ও জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং ডিসিপ্লিনের ডিসিপ্লিনার মো. রিমন আলী অভিযুক্ত।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রথমে মারামারি শুরু করা ও কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ডিসিপ্লিনের মেহেদী হাসান জুবায়েরকে মেরে রক্তাক্ত করার ও অর্ণবকে মারার অপরাধে ডেভলপমেন্ট স্ট্যাডিজ ডিসিপ্লিনের আরিফুল ইসলামকে বিশ হাজার টাকা জরিমানা ও এনআইডি কার্ডসহ অবিভাবকের উপস্থিতিতে মুচলেকা প্রদানের শাস্তি দেয়া হয়।
মারামারিতে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করার অপরাধে ব্যাবসায় প্রশাসন ডিসিপ্লিনের আলি হোসেন ইমন ও জিহাদ হাওলাদার এবং ডেভলপমেন্ট স্ট্যাডিজ ডিসিপ্লিনের আদনান বিন আলমকে দশ হাজার টাকা জরিমানা ও এনআইডি কার্ডসহ অবিভাবকের উপস্থিতিতে মুচলেকা প্রদানের শাস্তি দেয়া হয়।
এছাড়া ভিন্ন ঘটনায় নিজ সহপাঠী সারা মারিয়ামকে শারীরিকভাবে আঘাত করার অপরাধে বায়োটেকনোলজি ও জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং ডিসিপ্লিনের মো. রিমন আলিকে আগামী দুই টার্মের ফলাফল স্থগিত ও পঁচিশ হাজার টাকা জরিমানা এবং এনআইডি কার্ডসহ অবিভাবকের উপস্থিতিতে মুচলেকা প্রদান করার শাস্তি প্রদান করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, আগামী এক মাসের মধ্যে মুচলেকা প্রদান ও জরিমানার টাকা এসটিডি-৪০ হিসাবে জমা দিতে হবে। শাস্তির বিষয়ে নিয়মানুযায়ী একাডেমিক কাউন্সিলে আপিল করা যাবে।
উল্লেখ্য, শৃঙ্খলা বোর্ডের অনুষ্ঠিত সভায় সংশ্লিষ্ট তদন্ত কমিটির তদন্ত-প্রতিবেদন ও অভিযুক্ত শিক্ষার্থীর কারণ দর্শানো নোটিশের জবাব পর্যালোচনা করে তাঁদের বিরুদ্ধে অপরাধের মাত্রানুযায়ী শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
এইচ এম মাসুম হাসান
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়