দেশের ভোজ্যতেল বাজার স্থিতিশীল রাখতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) পরিশোধিত ও অপরিশোধিত রাইস ব্র্যান তেলের রপ্তানিতে ২৫ শতাংশ নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক আরোপ করেছে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) এ বিষয়ে এক প্রজ্ঞাপন জারি করে, যা অবিলম্বে কার্যকর হবে।
বাংলাদেশের ভোজ্যতেল বাজার মূলত আমদানি নির্ভর। দেশীয় চাহিদার বড় অংশই অপরিশোধিত সয়াবিন ও পাম তেল আমদানি করে পরিশোধনের মাধ্যমে পূরণ করা হয়। তবে দেশে বছরে আনুমানিক ১.২ থেকে ১.৫ লাখ মেট্রিক টন রাইস ব্র্যান তেল উৎপাদিত হলেও, এর অধিকাংশই প্রতিবেশী দেশে রপ্তানি হয়ে যায়। অথচ এই তেল অত্যন্ত পুষ্টিকর ও স্বাস্থ্যকর এবং এটি দেশীয় চাহিদার ২৫-৩০ শতাংশ পূরণ করতে পারে।
সরকার মনে করছে, দেশীয় বাজারে রাইস ব্র্যান তেলের পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত করা গেলে ভোজ্যতেলের মূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হবে। বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশনের সুপারিশের ভিত্তিতে রপ্তানি নিরুৎসাহিত করতেই এনবিআর এই নতুন শুল্ক আরোপ করেছে। সংশ্লিষ্ট মহল আশা করছে, এর ফলে দেশের ভোজ্যতেল খাতে স্থিতিশীলতা বজায় থাকবে এবং আমদানি নির্ভরতা কিছুটা হলেও হ্রাস পাবে।
এছাড়া, দেশীয় তেল পরিশোধন শিল্পের বিকাশেও এই পদক্ষেপ ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা মনে করেন, রাইস ব্র্যান তেলের স্থানীয় উৎপাদন ও ব্যবহার বৃদ্ধি পেলে কৃষক, মিল মালিক ও ভোক্তা—সবার জন্যই এটি লাভজনক হবে। সরকারের এই সিদ্ধান্ত দেশীয় শিল্পকে সুরক্ষা দেওয়ার পাশাপাশি খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেও সহায়ক হতে পারে।