দেশের নানান জায়গায় নারীর প্রতি সহিংসতা ও ধর্ষণের প্রতিবাদে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মশাল মিছিল করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (১০ মার্চ) সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় যবিপ্রবির কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এ মশাল মিছিল করে।
মশাল মিছিলে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন,” দড়ি লাগলে দড়ি দে, ধর্ষকদের ফাঁসি দে”,”সারা বাংলায় খবর দে,ধর্ষকদের কবর দে”,”তুমি কে?আমি কে?আছিয়া,আছিয়া”, “একটা একটা ধর্ষক ধর,ধরে ধরে ধরে জবাই কর” “একশন টু একশন ডাইরেক্ট একশন, যবিপ্রবির একশন ডাইরেক্ট একশন,ধর্ষকের বিরুদ্ধে ডাইরেক্ট একশন”, “ধর্ষকদের চামড়া তুলে নেবো আমরা”, “ধর্ষকদের ঠিকানা এই বাংলায় হবেনা” স্লোগান দেয়।
মিছিলে শিক্ষার্থীরা বলেন, স্বৈরাচার শেখ হাসিনার আমলেও ধর্ষণ ছিল,খুন ছিল,অন্যায়-অপরাধ ছিল এবং একসময় সেগুলোর বিচারও হয়েছে।কিন্তু এখন আমাদের দেশের প্রশাসনের এমন কি লাজুক অবস্থা হয়েছে যে তারা এই অপরাধীদের ধরতে পারছে না, সঠিক বিচার করতে পারছে না? আমাদের দেশে যে পরিমানে ধর্ষণ, খুন, চুরি ছিনতাই বৃদ্ধি পেয়েছে এখন আমাদের নতুন করে ভাবতে হচ্ছে এ সরকার কি আসলেই সফল নাকি চূড়ান্তভাবে ব্যর্থ। তাদের এমন অবস্থা কেন, তারা কি কারো দালালি করছে? যদি তারা দালালি করেই থাকে তাদেরকে ও আমরা ক্ষমতা থেকে নামাবো।শিক্ষার্থীরা আরো বলেন আমাদের সমাজ এখন নারীদের জন্য নিরাপদ না।আমরা কেন এমন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগব। আইন উপদেষ্টা, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা কি বুঝতে পারছে না তার দেশের অভ্যন্তরীন আইন শৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে। একজন ধর্ষকের শাস্তি হতে কেন ১৮০ দিন লাগবে। ধর্ষণের মতো জঘন্যতম অপরাধের শাস্তি ৩ দিনের মধ্যে হওয়া উচিত এবং ধর্ষকের শাস্তি ফাঁসি হওয়া উচিত বলে আমরা মনে করি।