বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেছেন, আবু সাঈদের সুপ্রিম স্যাক্রিফাইসের মাধ্যমে ১৯৭১ এর বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ ও স্বাধীনতার চেতনারই এক পুনরাবৃত্তি ঘটেছে, যা ১৬ জুলাইয়ে আবারও দেখতে পেয়েছি আমরা। এর মাধ্যমেই নির্ধারণ হয়ে গিয়েছে জাতি হিসেবে আমরা আর পেছন ফিরে তাকাবো না, ফেরার সব পথ বন্ধ হয়ে গিয়েছে।
রবিবার (৬ এপ্রিল) রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) ১ নম্বর ফটকের সামনে শহীদ আবু সাঈদ চত্বর পরিদর্শনকালে এই মন্তব্য করেন তিনি।
এ সময় প্রধান বিচারপতি বলেন, আজ আমি আবু সাঈদের প্রতি সম্মান জ্ঞাপন করতে, তাঁর আত্মার মাগফিরাত কামনা করতে এখানে এসেছি।
ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ আরও বলেন:
❝আবু সাঈদ হত্যা মামলা এখন বিচারিক প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। শহীদ আবু সাঈদের গলা চেপে ধরা অপরাধীরা এখনও উন্মুক্ত বাতাসে ঘুরছে। এগুলো নিয়ে আপনাদের আরও আওয়াজ তোলা দরকার। কারণ এ বিষয়ে সকলে মিলে পাবলিক ডোমেইন গড়ে তোলার কোনো বিকল্প নেই। তবে তদন্ত চলমান রয়েছে। তদন্ত শেষে অপরাধীদের যথাযথ শাস্তি নিশ্চিত করার বিষয়ে আমরা আশাবাদী।❞
এর আগে রবিবার দুপুরে ক্যাম্পাসে প্রধান বিচারপতির আগমন উপলক্ষে তাঁকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শওকাত আলী।
পরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী শহীদ আবু সাঈদের স্মৃতি বিজড়িত স্থান পরিদর্শন করেন প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ। এ সময় শহীদ আবু সাঈদের সহপাঠী ও সতীর্থদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। ২০২৪ সালের ১৬ জুলাই বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ নম্বর গেটের সামনে শহীদ আবু সাঈদের বীরত্বপূর্ণ সাহস ও দেশের জন্য প্রাণ বিসর্জন দেওয়ার ঘটনা প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছে শোনেন। পরে সাংবাদিকদের সঙ্গেও কথা বলেন প্রধান বিচারপতি।
শহীদ আবু সাঈদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান তিনি। এ সময় শহীদ আবু সাঈদের স্মৃতির স্মরণে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কর্তৃক গৃহীত বিভিন্ন কর্মকান্ড সম্পর্কে প্রধান বিচারপতিকে জানান বেরোবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ শওকাত আলী। বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার ড. মো. হারুন-অর রশিদ, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. ইলিয়াছ প্রামানিক, প্রক্টর ড. মো. ফেরদৌস রহমানসহ শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ সে সময়ে সেখানে উপস্থিত ছিলেন।