কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে মদ খেয়ে মাতলামি করে পর্যটকদের শান্তি বিনষ্ট করার কারণে গ্রেফতার হয়েছেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ কর্মী এবিএম মুশফিকুর রহমান সজলসহ তিন জন৷ শনিবার (২৭ জানুয়ারী) বিকাল ৫টায় কুয়াকাটা জিরোপয়েন্টের পশ্চিম পাশে আবাসিক হোটেল সাউথ বীচের সামনের সমুদ্র সৈকত থেকে গ্রেফতার করেছে টুরিস্ট পুলিশ৷ গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টুরিস্ট পুলিশের কুয়াকাটা জোনের ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক আবু সাহদাৎ মো. হাচনাইন পারভেজ৷
তিনি বলেন, সমুদ্র সৈকত এলাকায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কতিপয় ব্যক্তি নেশাজাতীয় মাদকদ্রব্য সেবন করে প্রকাশ্যে মাতলামি করে পর্যটকদের এবং স্থানীয় জনসাধারণের শান্তি বিনষ্ট ও বিরক্তি করাচরণ করছে। আসামিরা মাতাল হয়ে পর্যটকদের এবং স্থানীয় জনসাধারণের মারতে উদ্ধত হচ্ছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে তিন জন যুবকে আটক করা হয়৷
মামলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আসামিদের বিরুদ্ধে মাদক আইনে মহিপুর থানার মামলা নং ১১ তাং ২৮-০১-২৪ ধারা – মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৮ এর ৩৬(৫)/৪১ মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলাটি ট্যুরিস্ট পুলিশ তদন্ত করছেন। আসামিদের বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, এবিএম মুশফিকুর রহমান(২৭) সজল থানা- মোহাম্মাদপুর, জেলা- মাগুরা৷ আমিনুল ইসলাম মুন্না(২৭) থানা-কোতয়ালী, জেলা-বরিশাল৷ ফাহিম হোসেন (২৪) কোতোয়ালি, জেলা- বরিশাল।
গ্রেফতারকৃত দুইজন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী৷ এবিএম মুশফিকুর রহমান সজল বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী৷ তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ কর্মী ও স্বঘোষিত ছাত্রনেতা৷ তার নামে এর আগে দুটি মামলা রয়েছে৷ ফাহিম হোসেন একই বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী৷
প্রসঙ্গত,বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর থেকে ছাত্রলীগের কোন কমিটি গঠন হয়নি৷