সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বসে আলভী তার বন্ধুর সাথে গল্প করছিলেন। এমন সময় ‘প্রলয় গ্যাং’ এর কতিপয় সদস্য তবারক, মুরসালিন, সাকিব, জুবায়ের ও জোবায়ের ইবনে হুমায়ূনসহ ৪ থেকে ৫ জনের একটি দল তাদেরকে বিভিন্নভাবে হেনস্থার পর বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি প্রদর্শন শুরু করে। প্রতিবাদ করলে উদ্যানের ভেতরে নিয়ে গিয়ে আলভীকে বিভিন্নভাবে নির্যাতন করা হয়।তাকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের নির্জন স্থানে নিয়ে গিয়ে শুরু হয় পৈশাচিক শারীরিক নির্যাতন। প্রলয় গ্যাং এর সদস্যদের হাতে থাকা রড, লাঠি ও কাঠ দিয়ে ভুক্তভোগীর বিভিন্ন স্থানে জখম করা হয়। গ্যাং এর সদস্যরা গাঁজা খেয়ে সেগুলোর আগুন দিয়ে আলভীর মাথা ও গলার বিভিন্ন জায়গায় পুড়িয়ে দেয়। এরপর তবারক আলভীর পকেটে থাকা আড়াই হাজার টাকা নিয়ে সেখান থেকে সরে যায়। মুরসালিন আলভীর কাছে থাকা পোকো কোম্পানির ২৫ হাজার টাকা মূল্যের একটি স্মার্টফোন কেড়ে নিয়ে ভেঙ্গে ফেলে। সবশেষে আলভীর ড্রাইভিং লাইসেন্সসহ গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র পুড়ে ফেলে অভিযুক্তরা। ভুক্তভোগী এখন আইসিইউতে ভর্তি।
আলভীর মা ডা. রেহেনা আক্তার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে কনসালটেন্ট হিসেবে কর্মরত। এ ঘটনায় রাজধানীর শাহবাগ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন তিনি।
মামলার এজহারে অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল ও শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগের শিক্ষার্থী তবারক মিয়া, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের শিক্ষার্থী মুরসালিন, সাকিব, জুবায়ের ও স্যার এ এফ রহমান হলের শিক্ষার্থী জোবায়ের ইবনে হুমায়ূন। এছাড়াও, অজ্ঞাত আরো ৮ থেকে ১০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের মার্চে বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলের সামনে অপরাধ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী জোবায়ের ইবনে হুমায়ুনকে মারধরের ঘটনায় আলোচনার আসে প্রলয় গ্যাংয়।যেটির মামলা এখনো চলমান।