বাংলাদেশে অনলাইন ব্যবসায়ীদের জন্য হাইকোর্ট ৯ দফা নির্দেশনা প্রদান করেছে। এই নির্দেশনাগুলোর মাধ্যমে, অনলাইন ব্যবসা পরিচালনার ক্ষেত্রে আইন মেনে চলা, ভোক্তা অধিকার রক্ষা এবং অনলাইন ব্যবসায়ীদের নিবন্ধন করা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। রোবাইয়াত ফাতেমা তনির মালিকানাধীন ‘সানভিস বাই তনি’ শোরুমের বিষয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ রায়ও দেওয়া হয়েছে, যেখানে শোরুমটি খুলে দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, তবে পাকিস্তানি পোশাক বিক্রি না করার জন্য নির্দেশও দেয়া হয়েছে।
নির্দেশনাগুলোর মধ্যে রয়েছে:
1. সকল অনলাইন ব্যবসায়ীকে দেশের আইন মেনে চলতে হবে এবং ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ করতে হবে।
2. আইন লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে ক্ষতিগ্রস্ত পক্ষ আইনের সমান সুরক্ষা পাবেন।
3. কোনো ব্যবসা আইনের যথাযথ প্রক্রিয়া ছাড়া বন্ধ করা যাবে না।
4. ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ বিভাগ অনলাইন ব্যবসায়ীদের নিবন্ধন করাতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
5. অনলাইন প্ল্যাটফর্মে নকল পণ্য বিক্রি বা অননুমোদিত ব্যবসা চালানো বন্ধ করতে হবে।
6. সব অনলাইন ব্যবসায়ীর প্রশাসক এবং ভোক্তাদের জাতীয় পরিচয়পত্র যাচাই করতে হবে।
7. বিটিআরসির মতো কর্তৃপক্ষ অনলাইন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের তথ্য সংরক্ষণ করবে।
8. গ্রাহকদের সচেতন করতে হবে যাতে তারা প্রতারণার শিকার না হয়।
9. ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী, প্রতারণা করা ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এছাড়া, ‘সানভিস বাই তনি’ শোরুমের ব্যবসা পুনরায় চালু করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে, তবে প্রতি মাসে ব্যবসাটি পরিদর্শন করতে হবে এবং পাকিস্তানি পোশাক বিক্রি নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
এই নির্দেশনা এবং রায় অনলাইন ব্যবসা পরিচালনার ক্ষেত্রে নতুন দিক নির্দেশ করে, যা ভোক্তা সুরক্ষা ও ব্যবসায়ের আইনগত সঠিকতা নিশ্চিত করার দিকে সহায়তা করবে।