কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) নবাব ফয়জুন্নেছা চৌধুরাণী হলের হাউজ টিউটর পদত্যাগ করেছেন অর্থনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোছাঃ আশিখা আক্তার। সোমবার (২৯ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের কাছে পাঠানো এক পদত্যাগপত্র থেকে এসব তথ্য জানা যায়।
পদত্যাগপত্রে তিনি উল্লেখ করেন, ‘আমি কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের নওয়াব ফয়জুন্নেছা চৌধুরাণী হল এর হাউজ টিউটর পদে দায়িত্ব পালন করছি।সম্প্রতি গণমাধ্যমে উপাচার্য কর্তৃক কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ শিক্ষকদের স্বাধীনতাবিরোধী ও জামাত শিবির বলে অবিহিত করা এবং গত ২৮/০৪/২০২৪ তারিখে বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানিত শিক্ষকদের উপর সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসী হামলার অনাকাক্ষিত পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে প্রশাসনিক দায়িত্ব পালনে আমি নিজেকে অনিরাপদ বলে মনে করছি। তথাপি উক্ত হামলায় সম্মানিত নারী সহকর্মীদের উপর আক্রমণ নজিরবিহীন ও নিন্দনীয়। এমতাবস্থায়, আমি উক্ত প্রশাসনিক দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করছি।তবে আমি ভবিষ্যতে বিশ্ববিদ্যালয়ের যেকোন দায়িত্ব নিষ্ঠার সাথে পালন করার অঙ্গীকার করছি।’
উল্লেখ্য, গত ০৬ ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক তোফায়েল হোসেন মজুমদার, ০৭ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের গণমাধ্যম উপদেষ্টা মাহবুবুল হক ভূঁইয়া, ১৮ ফেব্রুয়ারি সহকারী প্রক্টর মাহমুদুল হাসান এবং ২০ ফেব্রুয়ারি সহকারী প্রক্টর মো: কামরুল হাসান ও শেখ হাসিনা হলের আবাসিক শিক্ষক কুলছুম আক্তার স্বপ্না পদত্যাগ করেন। এছাড়াও ১৯ মার্চ সিন্ডিকেট সভায় ‘এজেন্ডা বহির্ভূত ও বেআইনীভাবে ডিন নিয়োগ’ দেয়ার কারণ দেখিয়ে সিন্ডিকেট সদস্যর পদ থেকে অধ্যাপক ড. শেখ মকছেদুর রহমান পদত্যাগ করেন। ২০ মার্চ প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাহমুদুল হাছান খান, ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন এবং গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক অর্ণব বিশ্বাস, ফার্মেসি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জয় চন্দ্র রাজবংশীসহ মোট চার হলের চারজন হাউজ টিউটর পদত্যাগ করেন। সবশেষ ২৪ এপ্রিল সহকারী প্রক্টরের পদ থেকে পদত্যাগ করেন গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক কাজী এম. আনিছুল ইসলাম ও ২৫ এপ্রিল হাউজ টিউতর পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন আইন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মু. আলী মুর্শেদ কাজেম।
রকি উল হাসান
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়