টানা ১০ দিন পর রবিবার মোবাইল ইন্টারনেট সচল হলেও তার গতি ফের ধীর হয়ে পড়েছে। তা ছাড়া, সোমবার দুপুর থেকে ব্রডব্যান্ডের গতিও হ্রাস পেয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন গ্রাহকরা।
তবে গ্রাহকদের অভিযোগের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা সত্বর ইন্টারনেটের গতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে দাবি করে বলেন, সত্বর ঠিক হয়ে যাবে ইন্টারনেটের গতি। পাশাপাশি, স্বাভাবিকভাবে ইন্টারনেটের সার্ভারগুলো পুরোপুরি ঠিক হতে দুয়েকদিন সময় লাগতে পারে বলেও উল্লেখ করেন তারা।
বেসরকারি এক কোম্পানিতে চাকরিরত আমিন হাওলাদার ইন্টারনেটের ধীরগতির বিষয়ে বলেন, কারফিউর কারণে বাসায় বসেই অনলাইনে অফিস করছি। তবে সকাল থেকেই ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের গতি ধীর হয়ে যায়। দুপুরের পর তা আরও কমে গিয়েছে। একটি সার্ভার খুলতেই দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হচ্ছে বলেও বিরক্তি প্রকাশ করেন তিনি।
এ দিকে, দেশে ইন্টারনেট পরিষেবা চালু হলেও এখনও বন্ধ রয়েছে সকল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। তবে ভিপিএন চালু করে অনেক ব্যবহারকারীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রবেশ করছেন।
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান মো. মহিউদ্দিন আহমেদ সার্বিক বিষয়ে জানান, ইন্টারনেট পরিষেবা চালু করার পর ১০ দিন গুগলের ক্যাশ সার্ভিস, অর্থাৎ গুগল বা গুগল রিলেটেড জিমেইল, ইউটিউব বন্ধ থাকায় সংশ্লিষ্ট সার্ভারগুলো হালানাগাদকরণে ব্যান্ডউইথ বেশি লাগছে। ফলে প্রধান আন্তর্জাতিক ব্যান্ডউইথে চাপ পড়েছে।
আহমেদ আরও বলেন, ফেসবুক, ইউটিউব যেসব সার্ভিস বন্ধ রয়েছে সেগুলো ভিপিএন দিয়ে অনেকে চালানোয় আন্তর্জাতিক ব্যান্ডউইথে অত্যাধিক চাপ পড়েছে। এ জন্য মোবাইল ইন্টারনেটের গতি অনেক স্থানে ধীর হয়ে যাচ্ছে।
প্রসঙ্গত, সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতির সংস্কারের দাবিতে ছাত্র আন্দোলনকে ঘিরে গত ১৭ জুলাই মধ্যরাত থেকে চতুর্থ প্রজন্মের ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ হয়ে পড়ে। আর ১৮ জুলাই সন্ধ্যার পর থেকে থমকে দাঁড়ায় ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট পরিষেবাও। তখন থেকেই সকল অপারেটরের তৃতীয় ও চতুর্থ প্রজন্মের ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ ছিল। পরে পাঁচ দিন পর গত মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) রাত থেকে সীমিত পরিসরে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট পরিষেবা দেওয়া হয় জরুরি দপ্তর এবং সেবাপ্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে। বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) রাত থেকে বাসা-বাড়িতেও ইন্টারনেট সেবা সংযোগ করা হয়। সবশেষে রবিবার (২৮ জুলাই) চালু করা হয় মোবাইল ডাটা।