রমজান মাসে সুবহে সাদিকের পর থেকে মুসলিমরা পানাহার থেকে বিরত থাকে। আবার ইফতারের পর বেশ অনেকটা খাবার একসাথে খাওয়া হয়। সেক্ষেত্রে শরীরে অলস্য চলে আসে। তাই ইফতারের পর কিছুক্ষণ হাঁটাহাটি করা উচিৎ। ইফতারের পর হালকা হাঁটাহাঁটি করলে খাবার দ্রুত হজম হয় এবং শরীর সতেজ থাকে। খাবার খেয়েই শুয়ে পড়া বা এক জায়গায় বসে থাকলে ক্লান্তি আরও বাড়তে পারে। অন্তত ১০-১৫ মিনিট ধীরগতিতে হাঁটলে শরীরে রক্ত সঞ্চালন ভালো হয় এবং অলসভাব দূর হয়।
ইফতারের পর হাঁটার বেশ কিছু স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে।
1. হজমে সহায়তা: ইফতারে ভারী খাবার খাওয়ার পর হাঁটা হজম প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করতে সাহায্য করে। এটি পেটে গ্যাস, বদহজম এবং অস্বস্তি কমাতে পারে।
2. রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ: ইফতারে কার্বোহাইড্রেট বা মিষ্টি জাতীয় খাবার খাওয়ার পর রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। হাঁটা শরীরের ইনসুলিন সংবেদনশীলতা উন্নত করে এবং রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
3. ওজন নিয়ন্ত্রণ: নিয়মিত হাঁটা ক্যালোরি পোড়াতে সাহায্য করে এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে। রমজান মাসে অতিরিক্ত খাবার গ্রহণের ফলে ওজন বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি কমাতে এটি কার্যকর।
4. মানসিক স্বাস্থ্য উন্নতি: হাঁটা মানসিক চাপ এবং উদ্বেগ কমাতে সাহায্য করে। রোজা রাখার সময় ক্লান্তি বা মানসিক চাপ অনুভব হলে হাঁটা মনকে সতেজ করতে পারে।
5. হৃদয়ের স্বাস্থ্য উন্নতি: হাঁটা হৃদয়ের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। এটি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।
6. শক্তি বৃদ্ধি: ইফতারের পর হাঁটা শরীরে শক্তি জোগাতে সাহায্য করে এবং ক্লান্তি দূর করতে পারে।
পরামর্শ: ইফতারের পরপরই ভারী ব্যায়াম বা দ্রুত হাঁটা এড়িয়ে চলুন। হালকা থেকে মাঝারি গতিতে ২০-৩০ মিনিট হাঁটা যথেষ্ট। যদি কোনো শারীরিক সমস্যা থাকে, তবে হাঁটার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া ভালো।