পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পিটিআইয়ের (পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ) প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খানের বিরুদ্ধে বর্তমানে ১৮৮টি মামলা এবং তদন্ত চলছে।
ইসলামাবাদ হাইকোর্টে (আইএইচসি) তার বোন নুরিন নিয়াজি এক আবেদনে ইমরানের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা এবং তদন্তের সংখ্যা জানতে চাইলে আদালত সরকারকে এই সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপন করার নির্দেশ দেয়। এরপর পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ তথ্য প্রকাশ করে।
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ইমরানের বিরুদ্ধে পাঞ্জাবে ৯৯টি, ইসলামাবাদে ৭৬টি এবং খাইবার পাখতুনখোয়ায় দুটি মামলা চলছে। এছাড়া ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এফআইএ) তার বিরুদ্ধে সাতটি তদন্ত পরিচালনা করছে এবং ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টেবিলিটি ব্যুরো (এনএবি) আরও তিনটি মামলায় তাকে অভিযুক্ত করেছে। তোশাখানা মামলায় তার দোষী সাব্যস্ত হওয়ার বিরুদ্ধে করা আপিলও এখনও আদালতে মুলতবি রয়েছে। এ মামলাগুলোর অধিকাংশই পিটিআইয়ের সাম্প্রতিক আন্দোলনের সময়, বিশেষত অক্টোবর থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে দায়ের করা হয়েছে।
জেলে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপের সময় ইমরান খান অভিযোগ করেন, পিটিআইয়ের প্রতিটি বিক্ষোভের পরে সরকার তার বিরুদ্ধে নতুন নতুন মামলা দায়ের করছে।
তিনি এটিকে তার দল এবং সমর্থকদের দমন করার পরিকল্পনা হিসেবে উল্লেখ করেন। সামাজিক মাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে ইমরান সরকারকে কর্তৃত্ববাদী শাসন চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করার জন্য দায়ী করেন।
ইমরান খান দুটি দাবি তুলে ধরেছেন—বিক্ষোভে প্রাণহানি ও সহিংসতার বিচার বিভাগীয় তদন্ত এবং গ্রেপ্তারকৃত রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের মুক্তি। তিনি সতর্ক করে বলেছেন, যদি এই দাবিগুলো পূরণ না হয়, তবে ১৪ ডিসেম্বর থেকে সারাদেশে অসহযোগ আন্দোলন শুরু হবে।
অন্যদিকে, সরকারের দাবি, পিটিআইয়ের সাম্প্রতিক বিক্ষোভে কোনো প্রাণহানি ঘটেনি। বরং গত বছরের ৯ মে ইমরানের সমর্থকদের সেনা স্থাপনায় হামলা চালানোর অভিযোগ তুলে তারা।
ইমরান খান তার সমর্থকদের আগামী সপ্তাহে ইসলামাবাদে একটি বৃহৎ সমাবেশ আয়োজনের নির্দেশ দিয়েছেন। সমাবেশকে কেন্দ্র করে দেশের রাজনৈতিক অচলাবস্থা আরও গভীর হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আরএস//বিএন