উৎসবমুখর পরিবেশে দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) শাখা ছাত্রলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে ।
সোমবার (১১মার্চ) বিকাল ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ রাসেল হল মাঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশন ও জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং ছাত্রলীগের দলীয় পতাকা উত্তোলন করার মাধ্যমে সম্মেলনের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতি এবং উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের উপ প্রচার সম্পাদক সামসুল আরেফিন সেজান এবং উপ কর্মসংস্থান বিষয়ক সম্পাদক সাব্বির হোসেন ।এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি আবু সাঈদ কনক,সহ-সভাপতি সানোয়ার পারভেজ পুলক,সহ-সভাপতি আব্দুল আলীম খান,যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ হীল বারী,সাংগঠনিক সম্পাদক সিয়াম রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আতিকা বিনতে হোসাইন, সাংগঠনিক সম্পাদক পিয়াস রহমান, মুক্তিযোদ্ধা ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক খালিদ উর রহমান বাদল,বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিষয়ক সম্পাদক আনিসুজ্জামান পিয়াস, তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক হাসিন আজজাফর পান্থ,উপ-দপ্তর বিষয়ক সম্পাদক তানভীর আহম্মেদ স্বাধীন, উপ-প্রচার সম্পাদক বি এম জাবাল ই রহমত,উপ-অটিজম সম্পাদক শেখ সুমাইয়া আফরোজ নিশু,উপ-আন্তর্জাতিক সম্পাদক ইয়াসির আরাফাত প্লাবন, উপ তথ্য প্রযুক্তি সম্পাদক নাজমুস সাকিব, সহ সম্পাদক জুয়েল রানা সহ কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ এবং বিভিন্ন শাখা ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ।
উদ্বোধক বক্তব্যে কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেন, “আমাদের ছাত্র রাজনীতি করার ক্ষেত্রে যেসকল সীমাবদ্ধতা রয়েছে সেগুলো কাটিয়ে উঠতে হবে । আমাদের কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় এবং শিক্ষার্থীদের সমস্যা সমাধানের দায়িত্ব ছাত্রলীগ নেতাদেরকেই নিতে হবে। আমরা যেন শিক্ষার্থীদের অধিকার এবং একাডেমিক পরিবেশ বজায় রেখে সেরা ছাত্র সংগঠন হিসেবে সবসময় নিজেদের সম্মান অক্ষুণ্ণ রাখতে পারি”।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্যে ছাত্রলীগ সভাপতি বলেন, “আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে আমাদের নেত্রীর নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছি। ক্যাম্পাসে পলিটিক্যাল কালচার এবং ছাত্রলীগের স্বক্রিয়তা কার্যকর করতে হবে । সাংগাঠনিক নির্দেশনাবলি মেনে কর্মকান্ড পরিচালনা করতে হবে। আমরা বঙ্গবন্ধুর সৈনিক হিসাবে সবার সাথে কাজ করার মানসিকতা থাকতে হবে । ক্ষমতার রাজনীতি বাদ দিয়ে আমাদের পলিসি পলিটিক্স চালু করতে হবে । ছাত্র রাজনীতি করার মাধ্যমে ব্যাক্তিত্ব বিকাশের পাশাপাশি দেশ ও জাতি গঠনে ভূমিকা রাখতে হবে”।
সম্মেলনে আসা ছাত্রলীগ কর্মীরা বলেন, দীর্ঘদিন পর বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মেলন বিষয়টা ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের জন্য অনেক আনন্দের । দেখতে খুবই ভালো লাগছে। আমরা আশা করছি এবার আরও মেধাবী ও গতিশীল নেতৃত্ব আসবে এবং আগামীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখবে।
এই সম্মেলন উপলক্ষে গত শুক্রবার (৯ মার্চ) থেকে নেতাকর্মীদের মধ্যে বিরাজ করছে উৎসাহ-উদ্দীপনা। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত মঞ্চসজ্জা, সম্মেলনের প্রস্তুতি নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করেছে তারা। ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায় শোভা পাচ্ছে ছাত্রলীগের পতাকা ও জাতীয় পতাকা। সম্মেলন পেয়ে খুশি তারা। স্বপ্ন দেখছেন নতুন কিছুর। প্রত্যাশা, আরও গতিশীল ছাত্র নেতৃত্ব।
হাবিপ্রবি শাখা ছাত্রলীগের বিভিন্ন পদপ্রত্যাশী প্রায় ১৪০ জন নেতা-কর্মীরা তাদের জীবনবৃত্তান্ত জমা দেন।
নাঈম ইসলাম সংগ্রাম | হাবিপ্রবি