১.
এখানে সবকিছুই অনিয়ন্ত্রিত।
নিয়ন্ত্রণহীন উন্মাদনা, প্ররোচনা ও কামনার জোয়ারে ভাসছে সবই।
অনিয়ন্ত্রিত খাওয়া-দাওয়া, ঘোরাফেরা আর রাতের ঘুম সকালে দেওয়ার মধ্য দিয়ে দিনলিপির ছন্দপতন!
যখন-তখন ম্যাকলুহানের তত্ত্ব আর আল মাহমুদের গল্প পড়ারও নেই কোনো শিডিউল!
শ্রাব্য-অশ্রাব্য ভাষার মিছিল শুনে তো রাস্তার কুত্তাগুলোও কানে আঙুল দিতে চায়!
সব শালারই খালি প্রমোশন আর সিজি নিয়ে চিন্তা!
এসবের মধ্যেও তোমার টানা টানা দুই আঁখিতে আমি কীভাবে যেন সংযমের অস্তিত্ব টের পেয়েছি!
যা এই নগরীর জিভ বের করে হিসহিস করতে থাকা কালনাগিনীদের চোখে নেই!
কিন্তু আমার মনে বহু বর্ষজীবী ভীতির যে ক্রুদ্ধ আবাস আছে—
তা কে উচ্ছেদ করবে?
কে হেঁটে আসবে জারুল ঝোঁপের তল দিয়ে
কংক্রিটের ব্রিজ বেয়ে
এই এলাকার চায়ের দোকানটায়?
রং চায়ে তার অনবরত চুমুক তো আমার ভীতির ভিত্তিমূলেও করতে পারে আঘাত!
২.
কখনো তার খোঁপায় তুমি কোনো ফুল খুঁজে পাবে না।
কানও তাঁর অলংকারশূন্য
আর আবক্ষ আব্রুর আড়ালে মেঘনার পরিচ্ছন্ন ঢেউ।
তবে কেন যেন অদ্ভুতভাবে তার চুলে আজ আমার একগুচ্ছ জারুল গুঁজে দিতে ইচ্ছে করছে।
কিন্তু ফুলের সঙ্গে তো আমার আজন্ম বৈরিতা!
তবু আজ অন্তরাত্মার শত সংঘাতকে পিছে ফেলতেই হবে!
জারিত মেরুদণ্ড বাঁকিয়ে বাঁকিয়ে আর কত যায় পথ চলা?
পরিশেষে আমার কাছে কয়েক প্রজাতির ফুল সঞ্চিত হলে
আমি সমস্ত ঘটনার ফ্ল্যাশব্যাক করতে গিয়ে ঘুম থেকে জেগে উঠলাম;
আর দেখলাম: এক জোড়া জারুল পেতে আমি ঝরিয়েছি ৮৯ বার রকেটবৃষ্টি!
নিজেকে আমার তখন এ বদ্বীপের ‘ফ্রয়েড’ বলে মনে হলো!
লেখা: রুশাইদ আহমেদ