বাংলাদেশ জাতীয় দলের কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন অভিজ্ঞ ব্যাটার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। গতকাল (সোমবার) বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, তিনি মার্চ থেকে কেন্দ্রীয় চুক্তিতে না থাকার অনুরোধ করেছেন। তবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে অংশ নেওয়ার কারণে জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারির বেতন পাবেন তিনি।
টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি থেকে আগেই অবসর নেওয়া মাহমুদউল্লাহ শুধু ওয়ানডে খেলছিলেন। এবার ওয়ানডে ছেড়ে দেওয়ার বিষয়টি তার আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ক্যারিয়ারের সমাপ্তির ইঙ্গিত দিচ্ছে। জাতীয় দলের কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে অবসরের পথে আগেও দেখা গেছে তামিম ইকবাল ও মাশরাফি বিন মুর্তজাকে। তামিম চলতি বছরের জানুয়ারিতে আনুষ্ঠানিকভাবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানান, আর মুশফিক চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পর ওয়ানডে থেকে অবসর নেন।
*নতুন চুক্তিতে তাসকিন সবার ওপরে*
বিসিবির ঘোষিত ২২ সদস্যের কেন্দ্রীয় চুক্তিতে সর্বোচ্চ বেতনধারী খেলোয়াড় হয়েছেন পেসার তাসকিন আহমেদ। তিন ফরম্যাটে খেলার কারণে তাকে ‘এ প্লাস’ ক্যাটাগরিতে রাখা হয়েছে, যেখানে তার মাসিক বেতন ১০ লাখ টাকা। গত বছর তিনি টেস্ট চুক্তিতে ছিলেন না, তবে এবার তার অবস্থান শীর্ষে।
‘এ’ ক্যাটাগরিতে রয়েছেন টেস্ট ও ওয়ানডে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত, মেহেদী হাসান মিরাজ, লিটন দাস এবং মুশফিকুর রহিম, যাদের মাসিক বেতন ৮ লাখ টাকা। গেলো বছর তিন ফরম্যাটে থাকা সাকিব আল হাসান এবার চুক্তি থেকে বাদ পড়েছেন জাতীয় দলে অনিয়মিত থাকার কারণে। পেসার শরিফুল ইসলামকে ‘এ’ থেকে নামিয়ে ‘সি’ ক্যাটাগরিতে রাখা হয়েছে।
অনেক বছর পর কেন্দ্রীয় চুক্তিতে ফিরেছেন সৌম্য সরকার, যিনি ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টির জন্য ‘সি’ ক্যাটাগরিতে আছেন। তিন ফরম্যাটে খেলার পরও জাকের আলীকে একই ক্যাটাগরিতে রাখা হয়েছে।
পেসার নাহিদ রানা নতুন মুখ হিসেবে টেস্ট ও ওয়ানডে চুক্তিতে জায়গা পেয়েছেন এবং মাসিক ছয় লাখ টাকা বেতন পাবেন। একই ক্যাটাগরিতে রয়েছেন মুমিনুল হক, তাইজুল ইসলাম, মুশফিক, তাওহীদ হৃদয় ও হাসান মাহমুদ।
‘ডি’ ক্যাটাগরিতে থাকা দুই লাখ টাকা বেতনধারীদের মধ্যে রয়েছেন বাঁহাতি স্পিনার নাসুম আহমেদ ও পেসার খালেদ আহমেদ। বিসিবির এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, মূলত টেস্ট ক্রিকেটারদের বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, মাহমুদুল হাসান জয় ও শাহাদাত হোসেন দিপুকে কেন কেন্দ্রীয় চুক্তির বাইরে রাখা হয়েছে, সে বিষয়ে বিসিবির এক পরিচালক জানান, নির্বাচকরা প্রয়োজন অনুযায়ী চুক্তিভুক্ত খেলোয়াড় নির্ধারণ করেছেন।